আওয়ার ইসলাম: জাতীয় নাক কান গলা (ইএনটি) ইন্সটিটিউট চালু হয় ২০১৩ সালে। কিন্তু গত ৬ বছরেও চালু হয়নি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। অ্যানেসথেসিস্টের অভাবে আইসিইউয়ের মূল্যবান যন্ত্রপাতি পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। জরুরি মুহূর্তে রোগীদের পাঠানো হচ্ছে অন্য হাসপাতপালে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সময় চতুর্থ তলায় আইসিইউ স্থাপন করা হয়। সেখানে উন্নতমানের আটটি আইসিইউ শয্যাসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কিন্তু কোনো অ্যানেসথেসিস্ট না থাকায় এটি চালু করা সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, আইসিইউটি চালু করতে হলে কমপক্ষে ছয় জন অ্যানেসথেসিস্ট প্রয়োজন। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
একজন চিকিৎসক জানান, এ হাসপাতালে ক্যান্সার বা জটিল রোগীদের অস্ত্রোপচারের পর অনেক রোগীরই আইসিইউর প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু হাসপাতালের আইসিইউ চালু না থাকায় সেসব রোগীকে অন্যত্র পাঠাতে বাধ্য হই। হেড-নেক ক্যান্সার রোগীর অস্ত্রোপচারের সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একজন প্লাস্টিক সার্জনের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু এ হাসপাতালে কোনো প্লাস্টিক সার্জনও নেই। সিনিয়র অধ্যাপকরা অস্ত্রোপচার করলে বাইরে থেকে তারা তাদের ঘনিষ্ঠ প্লাস্টিক সার্জন নিয়ে আসেন। সম্পর্কের কারণে অধ্যাপকরা এসব অস্ত্রোপচার করতে পারলেও অনেকের পক্ষে এটা করা সম্ভব হয় না।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। তবে এমনটি হয়ে থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এএ/কেপি