আওয়ার ইসলাম: ইয়েমেন সীমান্তে বাংলাদেশের সেনা নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে জাতীয় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধী দল জাতীয় পর্টির সদস্য ফখরুল ইমাম।
১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও বিষয়টিতে আপত্তি জানান বলে জানা গেছে।
তারা উভয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে ওই চুক্তিতে সংবিধান লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা পরীক্ষা করার দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের রাশেদ খান মেনন বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশ ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করছে। ওই সমঝোতা চুক্তির আওতায় ইয়েমেন সীমান্তে বাংলাদেশের ১৮০০ সেনা নিয়োগ দেওয়ার কথা।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে যখন সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসবিরোধী জোটে বাংলাদেশ নাম লিখিয়েছিলো তখনই আমরা বলেছিলাম- আমাদের জন্য কতটা ইতিবাচক হবে তার চুলচেরা বিশ্লেষণ জরুরি, খটকা ছিলো তখনই।
তিনি বলেন, ইয়েমেনের ঘটনা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয়। সেখানে আমাদের সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়ে সীমান্তে মাইন কেন অপসারণের নামে নিজেদের জীবন দেবে? যেটা সংবিধান অনুমোদন করে না।
একই বিষয়ে ফখরুল ইমাম বলেন, আমি এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত। সংসদ রাষ্ট্রের একটা সাংবিধানিক অঙ্গ। এই যে চুক্তিটা ১৪৫ (ক) বলা আছে, কোনো বৈদেশিক চুক্তি হয় তাহলে সেটা রাস্ট্রপতির কাছে জমা দেবেন এবং রাষ্ট্রপতি সেটা সংসদে দেবেন। এটা আলোচনা করলে কী অসুবিধা ছিল? আমাদের না জানিয়ে সংসদকে পাশ কাটিয়ে এটা কেন করা হচ্ছে?
তিনি বলেন, সংসদকে মূল্যহীন ভেবে সরকারের এই চুক্তি করা কতটুকু যুক্তযুক্ত হয়েছে সেটা আপনার ওপর বিবেচনার জন্য ছেড়ে দিলাম।
আরআর