আওয়ার ইসলাম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধ করার জন্য ইতোমধ্যে কোর্টে একটি মামলা রয়ে গেছে। সেই মামলার রায় যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে ততক্ষণ কিছু করতে পারি না আমরা।
আশা করি খুব শীঘ্রই কোর্টের রায়ে জামায়াতে ইসলামকে দল হিসাবে নিষিদ্ধ করা হবে।
আজ বুধবার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ১ম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের কেসও চলমান রয়েছে।
এ দলকে সরকারিভাবে চিরতরে নিষিদ্ধ করা একই সাথে সাথে তাদের অবৈধ সম্পত্তির জামানত বাজেয়াপ্ত করা এবং তারেক জিয়াসহ বিদেশে পলাতকদের ফেরত আনতে সরকার কোন উদ্যোগে গ্রহণ করবে কি না?
এ প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াত যুদ্ধাপরাধী দল। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল।
সে যুদ্ধপরাধীর বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার পর জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সে বিচার বন্ধ করে দেয়।
তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যেটা আমাদের সংবিধানে ছিল না। সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে দেওয়া হয় এবং ৩৮ অনুচ্ছেদের আংশিক সংশোধন করে এদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল জিয়াইর রহমান।
শেখ হাসিনা বলেন, যা হোক, এখন তাদের বিরুদ্ধে জনমত এমনভাবে সৃষ্টি হয়েছে যে, জামায়াতকে এ দেশের মানুষ প্রত্যাখান করেছে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যে নিবন্ধন লাগে নির্বাচন কমিশনে এবং তার যে শর্তগুলি সেগুলি তারা পূরণ করতে পারেনি বলে তাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাদের নিষিদ্ধ করবার জন্য ইতোমধ্যে কোর্টে একটি মামলা রয়ে গেছে।
সে মামলার রায়টা যতক্ষণ পর্যন্ত না হবে সেখানে বোধহয় আমরা কোনকিছু করতে পারি না। আমি আশা করি, কোর্টের রায় খুব শীঘ্রই হয়ে যায় তাহলে জামায়াত দল হিসাবে নিষিদ্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, অপরাধ করে যারা বিদেশে পালিয়েছে, তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনা চলছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা তাদেরকে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করতে পারব।
-এইচআর