সুফিয়ান ফারাবী
ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক
গতবছর অবৈধ পথে দেওবন্দে পড়াশোনার অপরাধে কয়েকজন ছাত্রকে আটক করেছিলো ইমিগ্রেশন পুলিশ। অতপর ভারত ও বাংলাদেশের কিছু ওলামায়ে কেরামের প্রচেষ্টায় মুক্তি পান তারা।
দেওবন্দে পড়াশোনা কোনভাবেই বাঙালি ছাত্রদের জন্য বৈধ নয়৷ তবুও কিছু ছাত্র দ্বীনের উচ্চতর জ্ঞান অর্জনের জন্য পার্শবর্তী দেশ ভারতের দেওবন্দে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় পড়াশোনার জন্য যান। বিষয়টি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে প্রক্রিয়াটিকে সরকারিভাবে বৈধ করার কথা ভাবছে ‘কওমি ফোরাম’। সর্বপ্রথম এই দাবি তুলে একটি মানববন্ধন করেছেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রদের মুক্তির পাশাপাশি দেওবন্দের পথ চিরতরে উম্মুক্ত করার দাবি তুলে কওমি ফোরাম।
ঝামেলামুক্তভাবে আগামীতে ছাত্ররা যেন দেশের বাইরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পড়াশোনা করতে পারে, এ বিষয়ে একটি কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বিশিষ্ট ওয়ায়েজ ও মারকাজুত তারবিয়াহ সাভারের মুহতামিম মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি আমাদের দেশের কওমি ছাত্ররা বিদেশের মাটিতে উচ্চশিক্ষার জন্য যাক। আর এই যাওয়াটা যেন বৈধ এবং সুন্দর হয় তার জন্য সরকারিভাবে সনদকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য বাকি কাজগুলো আঞ্জাম দেওয়ার চেষ্টা করছি।
গতবছর দেওবন্দের দুয়ার খুলে দেওয়ার জন্য সরকার বরাবর আবেদনও করেছি। আমরা বিদেশের মাটিতে ছাত্রদের পড়াশোনার বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সাথে দেখছি। আশাকরি খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়টির সুরাহা হবে।’
লালবাগ মাদরাসার সিনিয়র মুদাররিস মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন রাজি বলেন, ‘শুধু দেওবন্দ আমাদের টার্গেট নয়। আমরা চাই পৃথিবীর মুসলিম দেশগুলোতে আমাদের সন্তানেরা পড়াশোনা করুক। তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হোক। কওমি ছাত্ররা এ বিষয়ে আশাবাদী হতে পারে। ইনশাআল্লাহ আমরা একটি কাঙ্খিত ফলাফল দিতে পারবো।’
কওমি মাদরাসার তরুণ আলেমগণের একটি অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম কওমি ফোরাম। এর নেতৃত্বে রয়েছেন, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন রাজি, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা ওয়ালিউল্লাহ আরমান, মাওলানা রুহুল আমিন সাদিসহ অনেকে।
নেতৃবৃন্দ আশা করছেন খুব শিগগির বিষয়টি তারা সুরাহা করতে পারবেন। এ লক্ষ্যে তারা প্রাথমিকভাবে অফিসিয়াল কার্যক্রম, দূতাবাসগুলোর সঙ্গে আলোচনা ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করছেন।
আরআর