শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

‘সারা দেশের তাবলিগের সাথীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের উদ্যোগ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: তাবলিগ জামাতের চলমান সঙ্কট নিরসন ও বিশ্ব ইজতেমার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জরুরি বৈঠক। বৈঠকে তাবলিগের উভয় গ্রুপ একত্রে ইজতেমা করার বিষয়ে সম্মত হন। সে মতে আগামী কাল নির্ধারণ হবে ইজতেমার তারিখ।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর বিষয়গুলো নিয়ে সমাধান আসে। এতে দীর্ঘ দিনের মতানৈক্য ভুলে তাবলিগ জামাতের দুই শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম হাত মেলান। বুকে বুক মিশিয়ে দীনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পুনরায় অঙ্গীকার করেন।

সূত্র জানায়, বৈঠকে উপস্থিত আল্লামা মাহমুদুল হাসান আলোচনার শেষ পর্যায়ে হাফেজ জুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামকে একসঙ্গে মিলিয়ে দেন। এসময় তারা দুজনে মোসাফাহা ও মুয়ানাকা করেন। ভুল বুঝাবুঝি দূরে রেখে কাজ চালিয়ে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেন।

দুজনের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে কাছাকাছি আনার পেছনে সে সময় মাওলানা মাহফুজুল ইসলাম ও মাওলানা মাজহারুল ইসলামও সহযোগিতা করেন।

এ সময় সবার মধ্যেই আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অতীতের দ্বন্দ্বের জন্য সবাই আফসোস প্রকাশ করতে থাকেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক আওয়ার ইসলামকে জানান, বৈঠক থেকে ইজতেমার জন্য হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামকে যৌথভাবেই ইজতেমা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো বিষয় নিয়ে তাদের দুজনের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শরণাপন্ন হয়ে বিষয়টির সুরাহা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

এছাড়াও সারা দেশে জেলা ও থানা পর্যায়ে তাবলিগের সাথীদের মধ্যে চলমান গ্রুপিং ও দ্বন্দ্ব নিরসন করে সবাইকে এক করতেও তাবলিগের এ দুই মুরব্বিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা উদ্যোগী হয়ে এসব নিরসন করবেন বলে জানান সচিব।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সম্মিলিতভাবে একটি ইজতেমা হবে। ইজতেমায় নিজামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসবেন না।

আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০ টায় ধর্মমন্ত্রণালয়ে তাবলিগের চারজন গুরুত্বপূর্ণ শুরা সদস্যের উপস্থিতিতে বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন, হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, খান শাহাবুদ্দিন নাসিম ও মাওলানা ওমর ফারুক।

ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ব ইজতেমার তারিখ নির্ধারণে এবং চলমান সঙ্কট নিরসনে এ বৈঠক শুরু হয়।

বৈঠকে সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রধান বেনজির আহমেদ, আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।

উলামায়ে কেরামের ও তাবলিগের সাথীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ, হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা আনাস মাদানী, মুফতি জসিম উদ্দিন, খান শাহাবুদ্দিন নাসিম, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা নূরুল আমিন প্রমুখ।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ