আওয়ার ইসলাম: কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও করে ভাঙচুর করেছে দেশটিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা। প্রতারণার শিকার হয়ে তারা এমনটি করেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় দূতাবাসের এইচওসি এবং কনস্যুলার আনিসুজ্জামান এবং পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার তিন কর্মকর্তাকে ব্যাপক মারধর করেছে বিক্ষুব্ধরা। আনিসুজ্জামানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার আসবাবপত্র ও কম্পিউটার তছনছ করা হয়। দূতাবাসের অনেক কম্পিউটার ভেঙে ফেলা হয়েছে।
পরিস্থিতি বেগতিক হলে কুয়েত পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দূতাবাসটি গিরে রাখে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের অভিযোগ, কুয়েতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চার শতাধিক বাংলাদেশি। দেশটির লেসকো নামের একটি কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা গত তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। কাজ করার বৈধ কাগজপত্র বা ‘আকামা’ও পাচ্ছেন না তারা।
বিষয়টি স্বীকার করে রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, সকালে অফিসে এসেই দেখতে পাই দুই থেকে তিনশ’ লোক দূতাবাসের ভেতরে ও বাইরে জমায়েত করেছে।
রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, কম্পিউটারগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাই কি দিয়ে কনস্যুলার শাখার কার্যক্রম চলবে? এটা মাথায় আসছে না। দেশের সম্পদ দেশের মানুষ নষ্ট করা কী ঠিক?
শ্রমিকরা জানান, দালালদের মিষ্টি কথায় গ্রামের সহজ সরল মানুষ ভিটেমাটি বিক্রি করে ৭ থেকে আট লাখ টাকা খরচ করে লেসকো কোম্পানিতে কাজ করতে কুয়েতে আসেন তারা। চার মাস ধরে তারা বেতন পাচ্ছেন না। তাদের আকামা বা পরিচয়পত্র দেয়া হয়নি। এজন্য সমস্যার মুখে পড়েছে। এসব সমস্যার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন চার শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক।
আরআর