আওয়ার ইসলাম: সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান জোড়ালো করা হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষ্যে কিছুদিন শিথিলতা দেখা গেলেও এবার মাদকের ক্ষেত্রেও জিরো টলারেন্স নীতির দিকে এগুচ্ছে নতুন সরকার।
গত ৩ জানুয়ারি সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সাংসদরা শপথ নেওয়ার পর সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে সেটা অব্যাহত রাখব।
তিনি বরেন, মাদক সমাজকে ভয়াবহভাবে ক্ষতি করছে। কাজেই যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রীর মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নড়েচড়ে বসেছে।
জানা যায, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় কিছুটা শিথিলর ফলে দেশের কয়েকটি জেলায় তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় ফিরেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছে প্রশাসন। তবে অভিযান জোরদারের সঙ্গে সঙ্গে তারা ফের গা ঢাকা দিতে শুরু করেছেন।
গত এক বছরের মাদকবিরোধী অভিযানে ১ লাখ ১৫ হাজার মামলায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যবসায়ী ও সেবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বছরের মে মাস থেকে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্ট গার্ডসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
নতুন বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানী ও ঢাকার বাইরে দুই শতাধিক মাদক মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশকে রক্ষা করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবস্থান সব সময়ই জিরো টলারেন্স। এ লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে।
আরআর