আওয়ার ইসলাম: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর সরকারের উচ্চমহল থেকে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। সরব হয়েছিল পরিবহন মালিক সমিতিও। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কয়েক মাসের ব্যবধানে আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে গণপরিবহন সেক্টর।
সড়ক-মহাসড়কে চলছে ফিটনেসবিহীন লক্কর ঝক্কর বাস, চলছে চালক হেলপারদের দৌরাত্ম। চালকদের সিগনাল না মানা, যেখানে সেখানে বাস দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা করানো, পাল্লা দিয়ে ছুটে চলার প্রবনতা এখনও বহাল আছে। একই সাথে পথচারীদের পুরনো অভ্যাসও পরিবর্তন হয়নি। তারাও ফুটওভার ব্রিজ রেখে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার হতে দ্বিধা করছেন না।
দেশের সড়ক-মহাসড়ক এবং গণপরিবহনে শৃঙ্খলা বিধান মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন নতুন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে একথা জানান। মন্ত্রী বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা বিধান অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে সড়ক প্রশস্তকরণের সুফল জনগণ পাবে না। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আইন প্রয়োগে গাফিলতি ও ট্রাফিক পুলিশের দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে কোনোদিনই গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরানো যাবে না। তিনি বলেন, বর্ততান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক নির্মাণ ও অবকাঠামোখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন।
সে হিসাবে সড়ক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলায় কাঙ্খিত অগ্রগতি হয়নি। নতুন সরকার যদি সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিধান করতে পারে তাহলে জাতি এই সরকার তথা সড়ক পরিবহন মন্ত্রীকে বহুদিন মনে রাখবে।
গণপরিবহনের শৃঙ্খলা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিআরটিএ’র পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) আব্দুস সাত্তার ইনকিলাবকে বলেন, বিআরটিএ-তে ম্যাজিস্ট্রেট আছেন মাত্র ১০জন। তাদেরকে দিয়ে মাসে ২০/২২ দিন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাত্র ১০টি মোবাইল কোর্ট দিয়ে পুরো রাজধানী কভার করা সম্ভব নয়, তারপরেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফিটনেসবিহীন গাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেখা যায় কোনো এলাকায় মোবাইল কোর্ট বসলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমাদের কিছুই করার থাকে না।
ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে সরকারের তরফ থেকে যে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হবে পুলিশ সেগুলো বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করবে। কিছু দিনের মধ্যেই বিআরটিসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সড়কে নতুন বাস নামাবে। তখন পর্যায়ক্রমে লক্কর-ঝক্কর বাস তুলে ফেলা হবে।
আইএ