শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

‘ইজতেমার বাধা শিগগির কাটবে; প্রত্যাশা আলেমদের’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: প্রতিবছরের মতো এবারের ইজতেমা জানুয়ারিতে না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। যদিও আলেমগণ আশা প্রকাশ করছেন দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টে পূর্ব নির্ধারিত তারিখ ২৮ জানুয়ারিতেই ইজতেমা করা যাবে।

মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আমির ও বিতর্কিত বয়ান ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া দীনি ও দাওয়াতে বিভক্তির পর বিশ্ব ইজতেমা নিয়েও তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।

কাকরাইলের ব্যবস্থাপনায় ইজতেমার পাশাপাশি মাওলানা সাদপন্থীরাও চাচ্ছেন আলাদা করে ইজতেমা করবেন। এ নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে প্রশাসন।

সর্বশেষ সিদ্ধান্তের জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি ভারতের দেওবন্দ যাচ্ছে তাবলিগের উভয় পক্ষের একটি প্রতিনিধি দল। তারা মাওলানা সাদের বিষয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের সর্বশেষ অবস্থান জানবেন। সেখান থেকে তারা ফিলে এলে তারপর অবস্থা বুঝে ইজতেমার সিদ্ধান্ত।

নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর জানুয়ারি মাসে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ১৯৬৭ সালে শুরুর পর একবারে তিন দিনব্যাপী ইজতেমা হয়ে এলেও দিন দিন অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ২০১১ সাল থেকে তিন দিন করে দুই ভাগে ছয় দিনে ইজতেমার আয়োজন করা হয়।

ভারতের নিজামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বেশ কিছু বক্তব্য নিয়ে তাবলিগে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। দারুল উলুম দেওবন্দসহ উলামায়ে কেরাম তার বক্তব্যকে ভুল প্রমাণ দিলেও সেটি মানতে নারাজ তার পক্ষের অনুসারীরা। তাই বাংলাদেশে তারাও আলাদাভাবে কাজ করতে অনড়।

কিন্তু মাওলানা সাদের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য নিরসন না হলে তা বাংলাদেশেও ছড়াবে এবং একসময় এটি ভয়ঙ্কর রূপ নেবে এ ভয়ে উলামায়ে কেরাম তাদের কার্যক্রম চালাতে দিতে চান না।

এসবের জের ধরেই গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর মাঠে অবস্থানকারী উলামা ও তাবলীগের সাথীদের ওপর হামলা চালায় মাওলানা সাদপন্থীরা। এতে ইসমাইল মণ্ডল নামে একজন সাথী নিহত হন এবং আহত হন কয়েক হাজার সদস্য ও মাদরাসা শিক্ষার্থী।

আহতদের মধ্যে গত সপ্তাহে সামসুদ্দিন বেলাল নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়।

২০১৮ সালে মাওলানা সাদ বাংলাদেশে এসেও ইজতেমায় অংশ নিতে না পেরে ফিরে যান। তবে তিনি কাকরাইল মসজিদে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে পরবর্তী ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করেন এ বছরের ১১ থেকে ১৩ জানুয়ারি।

অন্য দিকে বিশ্ব ইজতেমা থেকে তারিখ নির্ধারণ করেন ১৮ থেকে ২০ জানুয়ারি এবং ২৫ থেকে ২৭ জানুয়ারি।

বিষয়টি সুরাহা করতে ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে উভয়পক্ষই দাবি জানান ইজতেমা করার। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত হয় ১৫ জানুয়ারি প্রতিনিধি দলকে দেওবন্দ পাঠানোর।

তবে এ প্রতিনিধি দলের দেওবন্দ সফরের কথা ছিল নির্বাচনের আগে। নভেম্বরের ১৫ তারিখের বৈঠকে দেওবন্দ সফরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিনিধিও চূড়ান্ত করা হয়। তখন সফর করা হলে বিশ্ব ইজতেমা আগের তারিখেই অনুষ্ঠিত হতে পারতো বলে মনে করেন কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি চলমান এ সঙ্কট কাটাতে দেওবন্দ সফর করবেন ৭ জন প্রতিনিধি। এরা হলেন, আল্লামা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ।

সফরকারী প্রতিনিধি দল আশা করছেন, দারুল উলুম দেওবন্দের দেয়া সিদ্ধান্ত উভয় পক্ষ মেনে নেবে এবং আগের মতো তাবলিগ ও ইজতেমা চালিয়ে যাবেন।

এ বিষয়ে জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, প্রশাসনসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠকে হয়েছে। সেখানে তারা ইজতেমা নির্ধারিত সময়েই হওয়ার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে আশা করি প্রতিনিধি দল দেওবন্দ থেকে ফিরে এলে তা কেটে যাবে। যেহেতু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে বৈঠকে দুই পক্ষই এ সফরে মিমাংসার বিষয়ে ঐক্যমত হয়েছেন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ