হাসান আল মাহমুদ
আওয়ার ইসলাম
গত ৩০ ডিসেম্বর-২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বহুল আলোচিত নানা শঙ্কার একাদশ জাতীয় নির্বাচন। ফলাফলে ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ক্ষমতাসীন সরকার আওয়ামী লীগই তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করলো।
ইতোমধ্যে নবনির্বাচিত এমপি ও মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান ও মন্ত্রী পরিষদ গঠন সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ নিজ নিজ দপ্তরে দায়িত্বও বুঝে নিয়েছেন।
অপরদিকে নির্বাচনে অংশ নেয়া দেশের অন্যতম বৃহত্তর জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন বাতিল করে পুননির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। সে অনুযায়ী নিচ্ছে নানা কর্মসূচি।
২৯৯ আসনে প্রার্থী দেয়া ইসলামী আন্দোলনও এ নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন উল্লেখ করে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। একই সঙ্গে তারা পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
তবে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করা হলেও কোনো দল এ পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলনের মতো কঠোর কোনো কর্মসূচি দেয়নি। সামনেও দেবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ইসলামি দলগুলো কেউ একক আবার কেউ জোটে নির্বাচন করেছে। তবে ফল প্রত্যাখ্যান করলেও কেউ আন্দোলনের কথা ভাবছেন না। বরং নিজেদের দলকে আরও শক্তিশালী করার কথাই জানালেন নেতারা।
এ ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দল মজবুত করার পাশাপাশি পুননির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে যাবে।
দলের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ এ বিষয়ে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আমরা এখন আমাদের সংগঠনকে মজবুত করার প্রতি মনোযোগী হয়েছি।
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর যে প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়েছে তা বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে ১৬ জানুয়ারি সারাদেশে আমাদের মনোনীত এমপি প্রার্থীগণ ঢাকায় একত্রিত হবেন এবং সবাই নির্বাচন বাতিল চেয়ে প্রেসিডেন্ট বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন।
তিনি আরো বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারি আমাদের শূরা বৈঠক হবে। সেখানে সবার মতামত নিয়ে আগামী দিনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী জানান, আমরা এখন সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করার দিকে মনোযোগী। এছাড়া ইসলামী দলগুলোর মাঝে বৃহৎ পরিসরে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলবার চেষ্টায় আছি।
তিনি বলেন, ইসলামী দলগুলোর মাঝে পরস্পর ভাবনা বিনিময় প্রদান এবং বিভিন্ন বিষয় বিশেষভাবে সম্প্রতিক বিষয় নিয়ে আমাদের আরো কাছাকাছি আসার প্রয়োজন মনে করছি।
সব ইসলামী দল যদি এক মঞ্চ থেকে একটা ম্যাসেজ দেশ ও জাতিকে পৌঁছায়, তাহলে সেটা কার্যকরী হবে ভালোভাবে।
এদিকে ইসলামি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নিজামী জানান, তারাও চাচ্ছেন এ মুহূর্তে সংগঠনকে গোছানোর কাজে মন দিতে।
তিনি বলেন, আমরা এখন আমাদের সংগঠন গুছানোর প্রতি মনোযোগী হয়েছি। আপাতত এটাই আমাদের ভাবনা।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলান মাহফুজুল হক জানান, নির্বাচন পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে এখনো বসা হয়নি দলটি। শিগগির বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি বলেন, আমাদের দলীয় বৈঠক এখন হয়নি। আমরা বসব, তারপর দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে সে অনুযায়ী সাংগঠনিক কাজে ব্রতী হব।
আরআর