আওয়ার ইসলাম: সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো আজ মঙ্গলবারও সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। সকাল ৯টার পর থেকে তারা মিরপুরের কালশী সড়কে অবস্থান নেওয়া শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল থেকে ২২ তলার পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নেন। তাদের অবস্থানের কারণে বর্তমানে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একবার সরে গেলেও শ্রমিকরা আবার অবস্থান নেন।
পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক করিম বলেন, মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে তারা মূল সড়কে অবস্থান নিয়েছে। ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
এদিকে, সকাল ১০টার পর থেকে উত্তরা চালাবন মাজার রোডে চৈতি গার্মেন্টস সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নেন বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তাদের সরিয়ে দিতে পুলিশ ধাওয়া দিলেও শ্রমিকরা রাস্তা না ছেড়ে ঐক্যবদ্ধভাবে উত্তরার আজমপুর রোডের দিকে যায়।
দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন কুমার শাহা বলেন, ‘আমরা অনেক ধৈর্য সহকারে শ্রমিকদের বুঝাচ্ছি, যাতে রাস্তা ছেড়ে দেয়। কিন্তু শ্রমিকরা রাস্তা ছাড়ছেন না। আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেছি, তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে বেতন বাড়ানো হবে। আমরা তারপরও রাস্তা ফাঁকা করার জন্য চেষ্টা করছি।’
বিমানবন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টের শ্রমিকরা জড়ো হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আসার চেষ্টা করছে। শ্রমিকরা বিভিন্ন পোশাক কারখানায় গিয়ে অন্য শ্রমিকদের বের করে আনার চেষ্টা করছে। না আসলে কারখানায় ভাঙচুর করছে। দক্ষিণখান এলাকার নিপা এবং এপিএস ও চৈতি গার্মেন্টসে হামলার খবর পেয়েছি আমরা।
তিনি আরও জানান, বেলা ১২টার দিকে উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
এদিকে, দুপুর ১১টা ৩০ মিনিটে শ্রমিকরা মিছিল নিয়ে উত্তরা আজমপুর রোড অবরুদ্ধ করতে গেলে পুলিশের ধাওয়ায় শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এর আগেগত দুই দিনও বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে এয়ারপোর্ট, উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর সড়কে অবস্থান নেন শ্রমিকরা।
কেপি