সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


আল্লাহ তায়ালার ক্রোধ, লানত থেকে কীভাবে বাঁচবো: মুফতি মেঙ্ক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রোকন হারুন

প্রকৃতপক্ষে সমস্ত প্রশংসা কেবল আল্লাহ তায়ালার জন্য এবং দরুদ ও সালাম বষির্ত হোক রাসুলে আরাবি সা. এর ওপর, সেই সাথে সমস্ত নবীগণের ওপর।

আল্লাহ তায়ালার রাগ এবং লানত হলো শক্তি। এটা ছিল, আছে  থাকবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওতায়ালা রাগান্বিত হন। আমরা জানি তিনি অত্যান্ত দয়ালু ও করুণাময়। অনেক সময় আমরা অনাকাঙ্খিত কাজ করে ফেলি যার কারণে আল্লাহ তায়ালা ক্রুদ্ধ হন। সে ক্রোধের আযাব আমাদের ওপর আসে।

আমাদের জন্য জরুরী-একটু চেষ্টা করলেই আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে, পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে অর্থাৎ কুরআন  আমাদেরকে তথা সকল মানবজাতিকে সম্বোধন করে হুশিয়ার করে দিয়েছে আল্লাহ তায়ালার রাগ-গোস্বার ব্যাপারে; সর্বদ সাবধানতা অবলম্বনের জন্য সতর্ক করে দিয়েছে। কোনো অবস্থাতেই যেন আমরা আল্লাহ তায়ালার নির্দেশিত নিষেধাজ্ঞার পথ অবলম্বন না করি।

উদাহরণ হিসেবে বলি, ক্ষমতাশীল কোন  ব্যক্তি যদি আপনার ওপর অত্যান্ত রাগান্বিত হয় তাহলে আমার মনে হয় সারারাত আপনি ঘুমাতে পারবেন না। অথবা ধরে নিই, যদি দেখেন, এই ঘরের বাহিরে একটা সিংহ আছে তাহলেও তার ভয়ে এই ঘর ছেরে বাহিরে বের হবেন না।

এখানে ভাবার বিষয় ও শিক্ষণীয় বিষয়ও বটে, আমরা জীবজন্তুর ভয়ে ভীত হই, স্রষ্টার সৃষ্টির সামান্য ক্ষমতায় ভরকে যাই, অথচ সকল ক্ষমতার মালিক যিনি সেই স্রষ্টাকেই ভয় করি না! খুবই আর্শ্চযন্নিত বিষয়। এমন ভয়ানক মোনাফেকি থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের রক্ষা করুন, আমিন।

আমাদের উচিত একটু অনুধাবন করা; বিশেষ বিশেষ নিষেধাজ্ঞার ওপর আল্লাহর রাগ-গোস্বা, লানত এবং বিশেষ বিশেষ তেমন পাপী ব্যক্তিদের ওপরও তাঁর ক্রোধের শাস্তি পতিত হয়। সেজন্য সর্বদা আমাদেরকে এমন কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে । আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন, আমিন।

আল্লাহ তায়ালার ক্রোধের আযাব আমাদের ওপর থেকে দূরে সরানোর জন্য স্মরণ করতে চাই পবিত্র কুরআনের প্রথম সূরা ফাতিহাতে বণির্ত দোয়া। যেটি শিখিয়েছেন আমাদেরকে; “ইহদিনাসসিরোতল মুস্তাকিম”।

হে আল্লাহ, আপনি আমাদেকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দোয়া। সকলেই এই দোয়া বেশি বেশি করে পাঠ করব, হে আমাদের সৃষ্টিকর্তা’ আমাদের সকলকে সরল সঠিক পথের দিশা দিন। আপনাপার দেখানো পথে আমাদের পরিচালিত করুন। আমিন।

এরপর সূরার বাকি অংশে বণির্ত হয়েছে, সরল সঠিক পথ কোনটি। তাদের পথ, যাদের ওপর আল্লাহ তায়ালা অনুগ্রহ করেছেন, অর্থাৎ নবীগণ, রাসুলগণ ও বিশ্বাসীগণ যারা নেক আমল করেছেন।

আর আমরা সর্বদা বলি; হে আল্লাহ তাদের পথে নয় যাদের ওপর আপনার  আযাব-গজব বষির্ত হয়েছে এবং তাদের পথেও নয় যারা পথভ্রষ্ট।

আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে শাস্তি দেন, যাদেরে ওপর তিনি রাগান্বিত হন। এখানেও বণির্ত হয়েছে সে কথা। তাই তাঁর ক্রোধ থেকে মুক্তির জন্য উপায়ও বলে দিয়েছেন সাথে সাথে ক্রোধের শাস্তির দৃষ্টান্ত বণির্ত করেছেন যার সত্যতা পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে।

তারা সত্য জানতো কিন্তু তা মেনে নেয়নি, স্বীকার করে নেয়নি, ফলে  আল্লাহ তায়ালার ক্রোধ তাদেরকে কঠিনভাবে গ্রাস করে নেয়।

সত্য জানার পর তা পরিত্যাগ করলে আমাদেরকেও আল্লাহর ক্রোধের করুণ বাস্তবতার অপেক্ষায় বেশিক্ষণ থাকতে হবে না। তাই মহান মালিকের দরবারে আমাদের ফরিয়াদ, তিনি যেন আমাদের সকলকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন। আমিন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ