আওয়ার ইসলাম: জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কিন্তু আদালত প্রার্থিতার বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা বা স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এই আদেশের পর নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইয়াসিন খান বলেন, আদালত তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল দিয়েছেন। তবে তাদের প্রার্থিতা স্থগিতে অন্তঃবর্তী কোনো আদেশ না দেওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই এই ২৫ জামায়াত নেতার।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াছিন খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হাসেন সাজু। আর জামায়াত নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, আলী হোসেন, এমদাদুল হক ও হুমায়ুন কবিরের পক্ষে গত ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।
ওই রায়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১)(বি)(২) এবং ৯০সি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও সংবিধান পরিপন্থী। রায় এখনও বহাল।
এরও আগে গত ১৭ ডিসেম্বর (সোমবার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ প্রার্থীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী একটি রিট দায়ের করেছিলেন।
পরে ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রিট শুনানি শেষে রুল জারি করে আদেশ দেন। আদেশে তিনদিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেন।
কেপি