আওয়ার ইসলাম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইশতেহার প্রকাশ করেছে ইসলামী ঐক্যজোট।
দলটি তাদের ইশতেহারে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার সুদৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে ইসলামি শাসনের সোনালি অধ্যায় সৃষ্টি, চেক এন্ড ব্যালান্সসহ সংসদীয় সরকার পদ্ধতি অনুসরণ, জাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি প্রবর্তন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার অঙ্গীকার করা হয়েছে।
স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি, প্রতিটি নাগরিকের মর্যাদা রক্ষা, সামাজিক ন্যায় বিচার এবং নাগরিকদের রাজনৈতিক সমতার ভিত্তিতে শুরা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থকে ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে স্থান দেয়া এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধানের কথা বলা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দ্বারা মনোনীত ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করে সমাজ ও দেশ থেকে দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস, অস্র ও পেশী শক্তির উত্থান এবং কালো টাকা ও অর্থ পাচারকারীদের দৌরাত্ম নির্মূল করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পুরানা পল্টনস্থ মহানগর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে জোটের এসব প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আবদুর রশিদ মজুমদার ও মাওলানা জসিম উদ্দিন, যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি মুহাম্মাদ তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম ও মাওলানা শেখ লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন, তথ্য ও গবেষণা সচিব মাওলানা ওবায়দুল হক, মজলিশে শুরার সদস্য পীরজাদা সৈয়দ মোঃ আহসান ও সহকারী প্রচার সচিব মাওলানা মোঃ আনসারুল হক ইমরান।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী লিখিত ইশতেহারে আরো বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট ক্ষমতায় গেলে, ইসলামী মূল্যবোধ, কওমী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, গণমূখী, বৃত্তিমূলক ও বৈষম্যহীন শিক্ষা, গণমূখী শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শ্রম, বেকার সমস্যার সমাধান, নারী সমাজের ইসলাম ভিত্তিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুসলিম পারিবারিক আইন সংশোধন, ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতীয় চৈতন্যের ওপর যেকোন হস্তক্ষেপ প্রতিহত করা এবং উপজাতীয় সমস্যার সমাধান করা হবে।
ইসলামী ঐক্যজোটের ইশতে হারে যা আছে
১) ইসলামী ঐক্যজোট ক্ষমতায় গেলে ক. ইসলামি শাসনের সোনালি অধ্যায় সৃষ্টির উদ্যোগ নেবে।
খ) ইসলাম ভিত্তিক নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে জনগণকে স্বশাসনের চেতনায় উজ্জীবিত করে দেশ থেকে দূর্নীতি,স্বজনপ্রীতি, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস, অস্র ও পেশী শক্তির উত্থান এবং কালো টাকার দৌরাত্ম চিরতরে নির্মূল করে জনগণের জন্যে শান্তি, সমৃদ্ধি, নিরাপত্তা ও মানবিক মূল্যবোথের পূর্ণ বাস্তবায়ন করার মূলনীতির ভিত্তিতে সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নের মাধ্যমে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রয়াস চালাবে ইসলামী ঐক্যজোট।
ঘ) জাতীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক ইস্যুতে সকল দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার সম্বলিত একটি প্যাকেজ ম্যাগনাকার্টা বা জাতীয় দলিল তৈরির প্রয়াস চালানো হবে। সুস্থ ও ইতিবাচক রাজনীতি চালু রাখা হবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যের চেতনায় সকলকে উজ্জীবিত করার প্রয়াস চালানো হবে।
ঙ) নিজস্ব তাহযিব-তমদ্দুন এবং ঈমান-আক্বিদা বজায় রেখে ইসলামী জীবনধারার পথে অগ্রসর হওযার সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হবে।
২) স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব
অবিস্মরণীয় সংগ্রামের ফসল বাংলাদেশের সবাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের অঙ্গীকার। ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখ-তা রক্ষা করতে জনগণকে সচেতন করে তোলার ব্যবস্থা নেবে।
৩) সরকার পদ্ধতি
সংসদীয় সরকার পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। চেক এ- ব্যালেন্সডসহ সংসদীয় সরকার পদ্ধতিকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আইনের শাসন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হবে।
বর্তমান কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরন করা হবে। জেলা ও উপজেলাকে শুধু বাস্তবায়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সুনিদৃষ্ট ক্ষমতা প্রদান করা হবে। যাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে সামান্য কাজের জন্যে সচিবালয়মূখী হতে না হয়।
স্বায়ত্ত্ব শাসিত সংস্থাসমূহ যথা সিটি কর্পোরেশন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ণ পরিষদকে সরকারী নিয়ন্ত্রণমুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
৪) প্রতিরক্ষা
* দেশবাসিকে জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, দেশের শত্রু-মিত্র সম্পর্কে জনগণকে পরিস্কার ধারণা দেয়া, দেশের তরুণ সম্প্রদায়কে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া, সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়ন করা হবে।
প্রতিরক্ষার জন্যে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও সরঞ্জামের ক্ষেত্রে বিদেশী নির্ভরশীলতা কমিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের প্রয়াস চালানো হবে।
৫) শিক্ষানীতি
বৃত্তিমূলক, বৈষম্যহীন জীবন নির্ভর ও বাস্তবমূখী শিক্ষানীতি গ্রহণ করা হবে। আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলার জন্যে আদর্শ ও নীতির সমন্বয় সাধন করা হবে। সাধারণ শিক্ষার সাথে ইসলাম ভিত্তিক নৈতিক শিক্ষা চালু করা হবে।
কওমী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ মাদ্রাসা শিক্ষাকে বিশেষায়িত শিক্ষা হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
৬) পররাষ্ট্র নীতি
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে এই ইসলামী ঐক্যজোটের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি।
অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপ কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
জাতিসংঘ, ইসলামী সম্মেলন সংস্থা, জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন, কমনওয়েলথ ও সার্কসহ সকল আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থায় যোগ্য ও দক্ষ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে।
মুসলিম দেশগুলোর সাথে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়াস চালানো হবে।
৭) অর্থনীতি
জাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি প্রবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হবে। জাকাত, উশর ও খেরাজ ইত্যাদি আদায় করতঃ সম্পদ সৃষ্টি করে কর্মসংস্থান ও ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে ইসলামী ঐক্যজোটের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি।
আত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তালার লক্ষ্যে দেশীয় পণ্যকে প্রটেকশন দেয়া এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার কর্মসূচী গ্রহণ করবে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির অপরিহার্য করনীয় হিসেবে সহায়ক শিল্প গড়ে তোলা হবে।
৮) কৃষি
বিদ্যুৎ, সার, বীজ ও কীটনাশকসহ সকল কৃষি উপকরণ সূলভ মূল্যে কৃষকদের প্রাপ্তি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে। সহজ শর্তে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হবে। কৃষি পণ্য সংরক্ষণের জন্যে প্রয়োজনীয় হিমাগার নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সুষম কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে কোন কৃষি পণ্য বিদেশ থেকে আমদানী করার প্রয়োজন না হয়।
৯) শিল্প
আত্মনির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতি গড়ে তালার লক্ষ্যে দেশীয় পণ্যকে প্রটেকশন দেয়া এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করে কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলার কর্মসূচী গ্রহণ করবে। দেশের প্রয়োজন মেটানো এবং রপ্তানিমূখী শিল্প গড়ে তোলা হবে। দেশে তৈরি সমজাতীয় পণ্য আমদানী নিষিদ্ধ করা হবে।
কোন কল-কারখানা যৌক্তিক কারণ ছাড়া বন্ধ রাখা যাবেনা। সহজ শর্তে ঋণ মঞ্জুর করে বন্ধ কল-কারখানা সচল রাখার ব্যবস্থা করা হবে। কল-কারখানা চালু আছে কি না তা পর্যবেক্ষণের জন্যে মণিটরিং সেল গঠন করা হবে।
১০) শ্রমনীতি
কারখানা শ্রমিকের এই নীতির ভিত্তিতে সৃজনশীল উৎপাদনমূখী শ্রমনীতি গ্রহণ করবে। কল-কারখানা পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। বিনা কারণে শ্রমিক ছাটাই বন্ধ করা হবে। শ্রমিকদের জন্যে সার্ভিস বুক চালু করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
১১) ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
ক) বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নতিকল্পে সরকারী বেসরকারী ও স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা সমূহে পাঠাগার প্রতিষ্ঠা বাধ্যতামূলক করে প্রকাশনা শিল্পের সম্প্রশারণে এই এই জোট স্বচেস্ট থাকবে। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
কল-কারখানা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলায় রাখতে বাধ্য করতে জয়েন্ট কোম্পানীসহ অন্যান্য নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খ) জাতির প্রাণোচ্ছল, সৃজনশীল ও প্রতিভার সুষ্ঠু রূপায়ণের লক্ষ্যে জাতীয় ভাষা ও সাহিত্যের স্বতঃস্ফুর্ত বিকাশের ব্যবস্থা করা হবে।
গ) আগ্রাসন থেকে আমাদের উৎসবাদি ও তরুণ-তরুণীদের বাঁচাতে নির্মল, পবিত্র, স্বচ্ছ, নির্দোষ এবং নিজস্ব আদর্শের আলোকে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তোলা হবে। যেকোন উৎসব উদ্যাপনে নিজস্ব শিক্ষা-সংস্কৃতির অনুবর্তী হওয়ার জন্যে জনগণকে উৎসাহিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
১২) স্বাস্থ্য
সবার জন্যে স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা হবে। বিদ্যমান স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা, জেলা ও জাতীয় পর্যায়ের হাসপাতালে চাপ কমানো এবং বিশেষায়িত রোগ ছাড়া অন্যান্য রোগ-ব্যাধীর প্রতিবিধানে ইউনিয়ন ক্লিনিকগুলোকে স্বক্রিয় করা হবে।
১৩) নির্বাচন ব্যবস্থা
নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী আইন সংবিধিবদ্ধ করার ব্যবস্থা করা হবে। জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। সংসদ সদস্য নির্বাচনে ৫১% ভোট প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হবে।
কালো টাকার মালিক ও নৈতিক স্থলনসহ অনৈতিক কর্মকা-ের দায়ে দ-িত ব্যক্তিকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য ঘোষণার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
১৪) যোগাযোগ
রেল, সড়ক ও নৌপথের উন্নয়ণ আধুনিকায়ণে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। যানজট নিরসনে ফা¬ইওভার নির্মাণ, গামেন্টসসহ অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বাইরে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাউন সার্ভিস ছাড়া আন্তঃনগর বাস শহরের বাইরে রাখার জন্যে টার্মিনাল নিমাণের ব্যবস্থা করা হবে।
১৫) পরিবেশ
পরিবেশ উন্নয়ণে দেশের সর্বত্র বনায়ণের পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রয়োজনে মহাসড়ক ও অন্যান্য সড়কের উভয় পাশে বনায়ণ কর্মসূচী বাস্তবায়নে ইজারা পদ্ধতি চালু করা হবে।
১৬) সংবাদপত্রের স্বাধীনতা
মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়া হবে। কোন খবরে কেউ বিক্ষুব্ধ হলে তা প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে ফয়সালা করা হবে।
১৭) বিচার ব্যবস্থা
স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্যে প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত বিচার বিভাগ গড়ে তোলা হবে।
১৮) ধর্মীয় অধিকার
সকল নাগরিকের স্ব স্ব ধর্ম ধারণ, চর্চা ও অনুশীলনের স্বাধীনতার নিশ্চয়তার বিধান করা হবে। ধর্মীয় নেতা সম্পর্কে ব্যাঙ্গাত্মক, অরুচিকর ও অবমাননাকর উক্তির জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের সর্বোচ্চ শাস্তি সম্বলিত আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
১৯) সামাজিক নিরাপত্তা
ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারা কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীর মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে দরিদ্র ও কর্মক্ষমতাহীন লোকদের জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করা হবে।
২০) নারী অধিকার
আকৃতি, প্রকৃতি, জ্ঞান-গরিমা, শক্তি-সাহস ও মন-মেজাজ অনুযায়ী শালীনতা বজায়ে রেখে নারীদের যেকোন কর্ম গ্রহণ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে ইসলামী ঐক্যজোট।
২১) ভূমি সংস্কার
জমি কৃষকের নীতিতে সকল খাস জমি ভূমিহীন ও দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে বন্টন করা হবে।
সকল পতীত ও অনাবাদী জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হবে। কোন অবস্থায় বিনা কারণে কোন জমি পতীত রাখা যাবেনা।
২২) দুর্নীতি দমন
সমাজ ও দেশ থেকে দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাস, অস্র ও পেশী শক্তির উত্থান এবং কালো টাকার দৌরাত্ম ও অর্থ পাচার চিরতরে নির্মূল করার কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
২৩) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা
সংখ্যালঘুদের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বিধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে করা হবে।
উল্লেখ্য এবার সারাদেশে ইসলামী ঐক্যজোট এককভাবে ২৪ জন প্রার্থী দিয়েছে। তারা মিনার প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
প্রার্থীরা হলেন, মাওলানা যোবায়ের আহমদ গাইবান্ধা-২, অধ্যাপক এহতেশাম সারোয়ার নেত্রকোনা-৩, মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী চট্রগ্রাম-৫।
মাওলানা আলতাফ হোসাইন কুমিল্লা-১, মাওলানা একেএম আশরাফুল হক ব্রাহ্মবাড়িয়া-১, শাহ আলম ঢাকা-৪, মুফতি আবদুল কাইয়ূম ঢাকা-৫, মুফতি এএনএম জিয়াউল হক মজুমদার ঢাকা-৮, মাওলানা নজরুল ইসলাম বগুড়া-৫, মাওলানা মাহবুবুর রহমান নড়াইল-২, মোঃ রফিকুল ইসলাম বরগুনা-১, মাওলানা ক্বারী বশির আহমদ বরগুনা-২।
মাওলানা আবদুর রহমান (শাহআলম)পটুয়াখালী-৪, মাওলানা সাইফুল্লাহ হাবিবী বরিশাল-৪, মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী সিলেট-১, আলহাজ্ব এম এ মতিন চৌধুরী সিলেট-৫, মাওলানা আসলাম রহমানী মৌলভীবাজার-২, মাওলানা মেহেদী হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫।
মুহাম্মদ শাহ আলম কুমিল্লা-৫, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও-১, মাওলানা মাহদী হাসান শরিয়তপুর-১, ডাঃ মণির হোসেন চৌধুরী চাঁদপুর-২, রবিউল হোসাইন কক্সবাজার-৪ ও বাবুল হোসেন বান্দরবান।
আরআর