আওয়ার ইসলাম: উলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের মুরব্বিগণ বলেছেন, গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে মাওলানা সাদ অনুসারী কর্তৃক যে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় রচনা করেছে। দীর্ঘ ৩ সপ্তাহ অতিবাহিত হয়ে গেলেও অপরাধী কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখের এবং রহস্যজনক। এতে গোটা আলেম সমাজ, তাবলীগের সাথী ও তৌহিদী জনতা হতভম্ব ও চরমভাবে মর্মাহত।
তারা আরও বলেন, সরকার যদি কোনো দোহায় দিয়ে দোষীদেরকে শাস্তির আওতায় না আনে এবং সংকট নিরসনে উদ্দোগী না হয় বা কালক্ষেপন করে তাহলে সরকারের জন্য শুভ হবে না। আলেম সমাজ তখন কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
আজ (১৯ ডিসেম্বর) দাওয়াত ও তাবলীগের চলমান সংকট নিরসনে করণীয় বিষয়ে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর বোর্ড অফিসে শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখ ও তাবলীগের মুরুব্বীদের যৌথ সভায় উপস্থিতগণ উপর্যুক্ত কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বেফাক মহাসচিব আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস, তাবলীগের শীর্ষমুরুব্বী মাওলানা ওমর ফারুক, মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মাহফুযুল হক, মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ প্রমুখ।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, গত ১০ ডিসেম্বর সোমবার হাটহাজারী মাদরাসার বেঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাওয়াতে তাবলিগের সংকটপূর্ণ অবস্থায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য তাবলীগের মুরুব্বী ও শীর্ষ আলেমদের সমন্বয়ে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
গত ১ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া টঙ্গী ময়দানের বর্বর হামলার বিচারের দাবি এবং আগামী বিশ্ব ইজতেমা যথাসময়ে বাস্তবায়নের লক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারি ২০১৯ সোমবার সকাল ৯ টায় উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর খেলার মাঠে ওলামা-মাশায়েখ ও তাবলিগের মুরুব্বিদের সমন্বয়ে জাতীয় পরামর্শ-সম্মেলন।
সুনামগঞ্জ-৩ এর প্রার্থী মাওলানা শাহীনুর পাশার জামিন
আরআর