রোকন হারুন: একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে লড়ছে ৬ ইসলামি দলের ৩৬৭ জন প্রার্থী। এদের অধিকাংশই আলেম উলামা। প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে লড়ছে ২৯৮ জন।
ইসলামী আন্দোলন এককভাবে সারাদেশে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে। ৩০০ আসনের মনোনয়ন জমা দিলেও দলটির দুজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় ২৯৮ এ দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া এককভাবে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা দলের মধ্যে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী রয়েছেন ২৪ জন, বাংলাদেশ খেলাফাত আন্দোলনের ২৪ জন এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ১২ জন।
বাকি দুটি দল রয়েছে ২০ দলীয় জোটে। এর মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের দুই অংশের প্রার্থী ৫ জন এবং খেলাফত মজলিসের প্রার্থী ১২ জন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৯৮ প্রার্থীর মধ্যে দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম একই দুটি আসনে নির্বাচন করছেন। এ দলের প্রতীক হাতপাখা। দলের প্রার্থী তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
হাফেজ্জী হুজুর রহমান প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফাত আন্দোলনের মোট ২৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তাদর মধ্যে মনোনয়ন পেয়েছেন ২২ প্রার্থী। এ দলের প্রতীক বটগাছ।
ঢাকা ২ আসনে মাওলানা আতাউল্লাহ (আমির), ঢাকা ৭ আসনে হাবিবুল্লাহ মিয়াজি (মহাসচিব), ঢাকা ৪ হাজী আব্দুল মালেক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ আসনে মুজিবুর রহমান হামিদী।
কুমিল্লা ১ আসনে সুলতান মুহিউদ্দিন, কুমিল্লা ৮ আবুল ফারাহা আব্দুল আজিজ, সিলেট ১ নাসির উদ্দিন, গাইবান্ধা ২ হাফিজুর রহমান সরদার, ফেনি ১ আনসারুল্লাহ ভূঁইয়া, নোয়াখালী ১ জিয়াউল হক শহিদী, নোয়াখালী ৩ ওমর ফারুক, নোয়াখালী ৪ ফরিদ আহমদ, পিরোজপুর ৩ আব্দুল লতিফ জিরাজী।
শরিয়তপুর ১ মুফতি আব্দুস সামাদ কাসেমী, শরিয়তপুর ২ মাহমুদুল হাসান, চট্টগ্রাম ৫ মাওলানা মীর ইদ্রিস, বরিশাল ৪ এডভোকেট মাহবুবুল আলম দুলাল, নারায়ণগঞ্জ ৪ ইঞ্জিনিয়ার জসিমুদ্দিন, ফরিদপুর ২ এডভোকেট জয়নুল আবেদিন বকুল মিয়া, টাঙ্গাইল ৫ সৈয়দ খালেকুজ্জামান মোস্তফা, জামালপুর ৫ বেলাল আহমদ।
এচাড়া দলটি থেকে রশিদুল হক বি এস সি চট্টগ্রামের ৯,১১ ও ১৩ এ তিনটি আসনে একই লড়বেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী ২৪ জন। দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন জটিলতায় নির্বাচন করতে পারছেন না।
ঠাকুরগাঁও ১ রফিকুল ইসলাম, গাইবান্দা ১ জুবায়ের আহমাদ, বগুড়া ৫ নজরুল ইসলাম, নড়াইল ২মাহবুবুর রহমান, বরগুনা ১ রফিকুল ইসলাম, রবগুনা ২ ক্বারী বসির আহমাদ, পটুয়াখালী ৪ আবদুর রহমান শাহ আলম, রবিশাল ৪ সাইফুল্লাহ হাবিবী।
শরিয়াতপুর ১ কারী মাহদী হাসান, ঢাকা ৪ শাহ আলম, ঢাকা ৫ মুফতী আবদুল কাইয়ুম, ঢাকা ৮ মুফতী জিয়াউল হক মজুমদার, নেত্রকোনা ৩ এহতেশাম সারোয়ার, সুনামগঞ্জ ৩ কর্নেল অব সৈয়দ আলী আহমাদ, সিলেট ১ মুফতী ফয়জুল হক জালালাবাদী, সিলেট ৫ এম এ মতিন চৌধুরী, ব্রাহ্মনবাড়িয়া ১ এ কে এম আশরাফুল হক।
ব্রাহ্মনবাড়িয়া ৫ মেহেদি হাসান, চাঁদপুর ২ ড. মনির চৌধুরী, কক্সবাজার ৪ রবিউল হোসেন, চট্টগ্রাম ৫ মইনুদ্দীন রুহি, কুমিল্লা ১ আলতাফ হোসেন, কুমিল্লা ৫ শাহ আলম, মৌলভী বাজার ২ আসলাম রহমানী।
বাংলাদেশ খেলাফাত মজলিস জাতীয় পার্টির সঙ্গে নির্বাচনি সমঝতো করলেও শেষ পর্যন্ত মহাজোটের সঙ্গে টানাপোড়েনে গিয়ে আলাদা নির্বাচন করতে হচ্ছে। এজন্য দলের সিনিয়র অনেকেই নির্বাচন করছেন না। এ দলের প্রতীত রিকশা।
দল থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন ৮ জন। তবে শেষ মুহূর্তে ৩ জন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
৫ প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন-
কুমিল্লা ১ মুফতি মুহসিনুদ্দিন বেলালী, সিলেট ৩ আতিকুর রহমান, সুনামগঞ্জ ৪ মুফতি আজিজুল হক, মৌলভীবাজার ৩ লুৎফর রহমান কামালী, কিশোরগঞ্জ ৪ খাইরুল ইসলাম।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন, ময়মনসিংহ ৫ মুফতি হাবিবুর রহমান, ৭ মুফতি আব্দুল মোমিন ও নেত্রকোনা ১ এডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম।
২০ দলীয় জোটে শরীক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (শায়খ মুমিন) ৩ টি আসন পেয়েছে। ১ টি আসনে উন্মুক্ত নির্বাচন করবে খেজুর গাছ প্রতীকে।
জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে রয়েছেন অ্যাডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী সুনামগঞ্জ-৩, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক সিলেট ৫ এবং মাওলানা মনির হোসেন কাসেমী নারায়ণগঞ্জ- ৪।
এছাড়া নিলফামারী-১ আসনে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী উন্মুক্ত নির্বাচন করবেন।
জোটের আরেক শরিক খেলাফত মজলিস বিএনপি থেকে দুটি আসন পেয়েছে। এরা হলেন, ড. আহমদ আবদুল কাদের (হবিগঞ্জ- ৪) ও মাওলানা আবদুল বাসিত আজাদ ( হবিগঞ্জ-২) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
দলের আরও ১০ প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকে উন্মুক্ত নির্বাচন করবেন। তারা হলেন,
মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমান (টাঙ্গাইল-৭), মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন (সুনামগঞ্জ-৫), মুহাম্মদ মুনতাছির আলী (সিলেট-২)।
হাফেজ মাওলানা নোমান মাযহারী (কুমিল্লা-৭), আলহাজ্ব মোঃ দিলওয়ার হোসাইন (সিলেট-৩), মাওলানা মুফতি শিহাবুদ্দীন (চট্টগ্রাম-৫), অধ্যাপক মোঃ তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু (রংপুর-৩), অধ্যাপক রুহুল আমিন কামাল (বরিশাল-৪)। হাফেজ মোঃ কবির হোসেন (নারায়নগঞ্জ-৫) ও মাওলানা আবদুল আলী আরমান (নোয়াখালী-৪)।
ইসলামি দলের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধন হারানোয় কেউ নির্বাচন করতে পারছেন না। তবে দলটির ২২ প্রার্থী বিএনপির হয়ে নির্বাচন করছে। এছাড়া মাজারপন্থী আরও কয়েকটি ইসলামি দল মাঠে রয়েছে।
‘ওয়ায়েজ হতে হলে প্রচুর পরিমাণে খুতুবাত পড়তে হবে’
আরআর