হামিম আরিফ: হাটহাজারীতে কাল সারাদেশের প্রতিনিধিত্বশীল আলেমরা বসছেন দেশে তাবলিগ জামাতের চলমান সঙ্কট নিরসন এবং ইজতেমা মাঠে সাদপন্থীদের হামলার বিচারের বিষয় নিয়ে।
১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার এ সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও একদিন এগিয়ে ১০ ডিসেম্বর সোমবার করা হয়েছে। কাল সকাল ১০ টায় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার সেমিনার হলে বসবে এ সম্মেলন।
রোববার সকালে হাটহাজারীর সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানী এবং বেফাকের সহকারী মহাসচিব মুফতি নূরুল আমিন আওয়ার ইসলামকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন ঢাকার শীর্ষস্থানীয় আলেমসহ সারাদেশের ৬৪ জেলার প্রতিনিধিত্বশীল আলেমগণ। সম্মেলনে আলেমরা নিজ নিজ জেলার অবস্থান তুলে ধরবেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি জেলার লন্তত দুজন করে আলেম উপস্থিত থাকবেন সম্মেলনে। এতে তাবলিগ জামাতের সাম্প্রতিক সঙ্কট ও ইজতেমায় হামলাকারীদের বিচারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে।
হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী এতে সভাপতিত্ব করবেন। উপস্থিত থাকবেন হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী মুহতামিম আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীও।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উলামায়ে কেরাম ও তাবলিগের মুরব্বিদের বৈঠকে এ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত হয়।
ওই বৈঠকে টঙ্গি ময়দানকে মসজিদ মাদরাসা সবগুজারির জন্য অবমুক্ত করাসহ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা মোশারফ হোসাইন, খান শাহাবুদ্দিন নাসিম ও ইউনুস সিকদারকে স্থায়ীভাবে কাকরাইল থেকে বহিস্কারের দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও গত ১ ডিসেম্বর ইজতেমা ময়দানে নৃশংস হামলার উস্কানিদাতাতের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তিও দাবি করেন।
বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আশার আলীর সহসভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বেফাকের মহাপরিচালক জুবায়ের আহমাদ চৌধুরী, সহসভাপতি আল্লামা সাজিদুর রহমান, আল্লামা আবদুল হামিদ, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মহাসচিব, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমিন, নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী প্রমুখ।
এছাড়াও তাবলীগের জামাতের শুরা সদস্য কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা ওমর ফরুক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
‘ইজতেমা মাঠে এমন বর্বরতা জীবনেও দেখিনি’
আরআর