হামিম আরিফ: টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে তাবলীগের সাথী, মুসল্লি ও মাদরাসার ছত্রসহ আলেমদের ওপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবিতে বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে হামলার উসকানিদাতাদের গ্রেফতারসহ বিচার দাবি করেন উলামায়ে কেরম।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ির কাজলায় অবস্থিত বেফাক অফিসে এই বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় বেলা ১ টায়।
বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ৩ টি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এগুলো হলো, কাকরাইল মারকাজ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ইজতেমায় হামলায় অভিযুক্ত সাদপন্থী সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, শাহাবুদ্দীন নাসিম, মাওলানা আশরাফ ও ইনুস শিকদারকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা এবং ইজতেমায় সন্ত্রাসী হামলার হুকুমদাতা হিসেবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা।
এছাড়াও বৈঠক থেকে আগামী মঙ্গলবার হাটহাজারী মাদরাসায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে বেফাকের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ শীর্ষ উলামায়ে কেরাম উপস্থিত থাকবেন।
বৈঠকে উপস্থিত বেফাকের পরিদর্শক মাওলানা আতিকুল ইসলাম আওয়ার ইসলামকে এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে আগামীকাল শুক্রবার সারাদেশ ব্যাপি বিক্ষোভ মিছিল এবং মসজিদে মসজিদে জুমার বয়ানে ইজতেমায় হামলা ও মাওলানা সাদের ভ্রান্তিসমূহ নিয়ে আলোচনার কথাও বলা হয়।
বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন।
উপস্থিত ছিলেন, বেফাকের সহসভাপতি আল্লামা সাজিদুর রহমান, আল্লামা আবদুল হামিদ, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মহাসচিব, মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নুরুল আমিন প্রমুখ।
এছাড়াও তাবলীগের জামাতের শুরা সদস্য কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা ওমর ফরুক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
‘প্রতিটি রক্ত কণার হিসাব সাদপন্থীদের দিতে হবে’
আরআর