হামিম আরিফ: নির্বাচন সামনে রেখে ইজতেমা মাঠে জোড় বন্ধ থাকায় তাবলিগের সাথীদের জন্য নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কাকরাইলের মারকাজ।
৩ ডিসেম্বর কাকরাইলের মারকজের প্যাডে শুরা সদস্য হাফেজ মাওলানা যোবায়ের আহমদ স্বাক্ষরিত চিঠি প্রেরণ করা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর টঙ্গি ময়দানে সাথীদের ওপর যে হালাত এসেছে তা অত্যন্ত হৃদয়-বিদারক। দুনিয়াতে যেসব হালাত আসে তা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে আসে। হালাত চলে যায়, কিন্তু হালতের ওপর যে আমল করা হয় তা অবশিষ্ট থাকে।
এ জন্য এই হালতে তওবা, এস্তেগফার করি এবং দোয়া ইউনুসের ওপর আমল করি। ইনশাল্লাহ আল্লাহ তায়ালা হলাহ দূর করে দিবেন।
এ অবস্থায় জমে না থেকে দীনি দাওয়াতের এ কাজ আরও বেগমান করার কথাও বলা হয় চিঠিতে।
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে কাকরাইলের পরামর্শে নিচের সিদ্ধান্তগুলো ঠিক হয়।
ক. পাঁচ দিনের জোড় ৭-১১ ডিসেম্বর-২০১৮ টঙ্গীর ময়দানে হওয়ার কথা ছিল তা হবে না।
খ. যেসব সাল, ৩ চিল্লার সাথী ও কম-বেশি ওয়াক্ত লাগানাে ওলামা হজরত পাঁচ দিনের জোড়ের জন্য তৈরি হয়েছিলেন, তাদের জিলা মার্কাজে ৫/৭ দিনের জামাত বানিয়ে নিজ জিলা সফর করা।
গ. জোড় থেকে যে সময় ১ চিল্লা, ৩ চিল্লার জামাত বের হওয়ার কথা ছিল সেসব জামাত নিজ জেলা থেকে ৪০ দিনের জন্য বের হবে, জামাতের রওনগী ও ওয়াপেসী মার্কাজ থেকে হবে ইনশাআল্লাহ।
খ. যারা নিজ জেলা থেকে জামাত বের করতে পারবেন না, তারা জামাতগুলােকে কাকরাইলে পাঠাতে পারবেন।
ঙ. জামাতের নম্বর, রোখ ও পর্চার কাগজ কাকরাইলের তাসকিল থেকে নিলে ভালাে হয়।
চ. যে থানার সাথী সে থানায় রোখ না করা মােনাসেব।
ছ. প্রয়ােজনে জেলার জিম্মাদার সাথীগণ পার্শ্ববর্তী জেলার জিম্মাদার সাথীদের সাথে পরামর্শ করে পাশ্ববর্তী জেলায়ও জামাতের রোখ দিতে পারেন।
ইজতেমা মাঠে হামলায় সারাদেশে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ
আরআর