আবিদ আনজুম ।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) মহাজোটের প্রার্থী কে তা নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা। আওয়ামী লীগ এ জেলার ৫ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করলেও এটি বাদ রেখেছে। জানা গেছে আসনটি মহাজোটের শরিক দল জাতীয়পার্টির জন্য রেখেছে।
তবে আসনটি জাতীয় পার্টির জন্য রাখলেও এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি কাকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হবে। এ নিয়ে আসনটিতে চলছে জামাই শ্বশুরের দ্বন্দ্ব।
এদিকে আসনটি পেতে আলোচনায় আছেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীও। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক ফয়সালা এলে তিনিই পেতে পারেন চূড়ান্ত মনোনয়ন।
জানা গেছে, মহাজোটের প্রার্থী তালিকায় আসনটিতে রয়েছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। তিনি এ আসনে নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হন। তবে একই আসনে তার মেয়ের জামাই অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইঁয়াও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী। রেজাউল জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের যুব বিষয়ক উপদেষ্টা।
গত ২৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার মনোনয়ন চূড়ান্ত এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে তার শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধাদৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। শীর্ষ নেতদের মধ্যে এ নিয়ে কয়েকদফা বৈঠকও হয়।
এদিকে আসনটি ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনীকে দেয়ার জন্যও আলোচনা চলছে মহাজোটে। এলাকায় ইসলামী ঐক্যজোটের নেতাকর্মীরা সে অনুযায়ী আশা করছেন আসনটি পাবেন তারা।
যদিও মহাজোট থেকে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি জাতীয় পার্টি না ইসলামী ঐক্যজোট চূড়ান্ত পর্যায়ে কে পাচ্ছে এ আসন।
জানা যায়, আগামী কাল মাওলানা আবুল হাসান আমিনী মনোনয়ন পত্র জমা দেবেন। আসনটিতে তিনি ইসলামী ঐক্যজোটের প্রতীক মিনার প্রতীকেই নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে। তবে সমর্থন থাকবে মহাজোটের।
এ বিষয়ে দলের একজন শীর্ষ নেতা আওয়ার ইসলামকে বলেন, জাতীয় পার্টিকে বসাতে আলোচনা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত কী হয় বলা যায় না। চূড়ান্তভাবে জানা যাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিন।
আসনটিতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দেয়ার জন্যও দাবি ওঠেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্য কোনো শরীককে যেন আসনটি না সে দাবি করছেন হাইকমান্ডের কাছে। তবে নেত্রী যাতে মনোনয়ন দেবেন শেষ পর্যন্ত তার জন্য কাজ করবে বলেও জানায় তারা।
১৯৭৩ সালের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কখনোই জয় পায়নি আওয়ামী লীগ। সরাইল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের আংশিক এলাকা নিয়ে আগে আসনটির গড়ে উঠেছিল। কিন্তু ওয়ান ইলিভেনের সময় আসন পূণর্বিন্যাসের মাধ্যমে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গড়ে উঠে আসনটি। আসন পূণর্বিন্যাসের আগে এখানে সর্বশেষ এমপি ছিলেন তৎকালীন ৪দলীয় জোট সরকারের শরীক ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি মুফতি ফজলুল হক আমিনী।
২০০৮ সালে মহাজোট গঠনের পর আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। নবম সংসদ নির্বাচনে মুফতি আমিনীকে পরাজিত করে এ আসনের এমপি নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মৃধা।
তিন আসনে মনোনয়ন চিঠি পেল মুফতি ওয়াক্কাসের জমিয়ত
আরআর