আওয়ার ইসলাম: রাজধানী ঢাকার রমনা থানায় দায়ের করা নাশকতার ১০ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে-একাংশ) সভাপতি শওকত মাহমুদকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দেশের কয়েকটি জেলার বিভিন্ন থানায় দায়ের করা পৃথক মামলায় পাঁচশতাধিক বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মী হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন। আইনজীবীরা সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে এসব মামলা হয়।
আবেদনের শুনানি শেষে আজ সোমবার হাইকোর্টের পৃথক বেঞ্চ এসব বিএনপি নেতাকর্মী জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। জামিনপ্রাপ্ত নেতারা অভিযোগ করে বলেন, এসব মামলার অভিযোগগুলো সবই ‘গায়েবি’। বাস্তব ঘটনার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এসব মামলা করেছে পুলিশ।
আদালতে বিএনপি নেতা শওকত মাহমুদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফরহাদ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকে মো. দিদারুল আলম।
দিদারুল আলম বলেন, শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি, ৮ ফেব্রুয়ারি দুটি এবং সর্বশেষ ১ অক্টোবর রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়। এর আগে ২০১৭ সালের ২০, ২১, ২৬ এবং ২৮ ডিসেম্বর রমানা থানায় অপর মামলাগুলো করে পুলিশ।
গত কয়েক মাসে শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে ১০টি নাশকতার মামলা করে পুলিশ। সোমবার এসব মামলায় তিনি পৃথক দশটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে হাইকোর্ট তাকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
এগুলো ছাড়াও চট্টগ্রামের পতেঙ্গ থানায় দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায় ৮০ জন এবং কুমিল্লা দক্ষিণ সদর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ২৩ বিএনপি নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান জানান, ভৈরব থানায় দায়ের হওয়া নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম ও হাজী মো. শাহীনসহ ৪৬ জন নেতাকর্মীর জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান জানান, রাজধানীর দারুস সালাম থানায় দায়ের হওয়া ১৫টি নাশকতার মামলায় হানিফ পরিবহনের বর্তমান মালিক বিএনপি নেতা হাজী কফিল উদ্দিনকে ৬ সপ্তাহের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সব মিলিয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির আবেদনের পরিপেক্ষিতে তাদের দাবি অনুযায়ী গয়েবি মামলার অপরাধিদের জামিন দিয়েছে কোর্ট।