আওয়ার ইসলাম: আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। তবে নির্বাচনী ব্যয়ের নামে কালো টাকা ব্যয়ের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে দুদক।
নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবাই স্বচ্ছতা বজায় রাখবেন এবং নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন কমিশনে ব্যয় বিবরণী জমা দেবেন। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেবেন না, এখানে অবৈধ সম্পদের কোনো বিষয় থাকলে দুদক আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চতুর্দশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে কালো টাকা বা অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের দেশের জনগণ নির্বাচিত করবে না।
তিনি আরো বলেন, ব্যক্তির রাজনৈতিক, সামাজিক বা পেশাগত পরিচয় কমিশনের কাছে কোনো বিবেচ্য বিষয় নয়, ব্যক্তি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করে কালো টাকা বা অবৈধ সম্পদ অর্জন বা পেশিশক্তি ব্যবহার করে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে দুদক।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে কমিশন যে উদ্দেশ্যে গঠন হয়েছিল তা হয়তো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় সফল হয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালনকালে পেশিশক্তি দ্বারা আক্রান্ত হলে, জনগণ যেভাবে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধে এগিয়ে আসার কথা ছিল, সেভাবে এগিয়ে আসছেন না।