আওয়ার ইসলাম: ঢাকায় অপরাধ বেশি হয় মোহাম্মদপুর থানায়, আর কম অপরাধের থানা সেনানিবাস। ডিএমপির ৫১ থানায় দায়ের করা মামলার রেকর্ড ঘেটে আর গবেষকদের তথ্য থেকে পাওয়া গেছে এই অপরাধচিত্র।
আবার এলাকাভেদে অপরাধের ধরনও যাচ্ছে পাল্টে। নগরায়ন বাড়ার কারণে বাড়ছে অপরাধ-বলছেন বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা।
অভিযান, কড়াকড়ির পরও রাজধানীর সব থানায় শীর্ষ অপরাধ এখনো মাদক। এলাকাভেদে অপরাধের ধরনেও রয়েছে ভিন্নতা। মারধরের অভিযোগের মামলায় এগিয়ে উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ, বাড্ডা, মুগদা, খিলগাঁও থানা। পুরান ঢাকায় দস্যুতা, ছিনতাইয়ের অপরাধ বেশি। ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা সবচেয়ে বেশি শাহবাগ ও রমনায়।
ডিএমপির মামলার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি অপরাধ হয় মোহাম্মদপুরে। এই থানায় প্রতি মাসে দেড়শতাধিক মামলা নথিভূক্ত হয়। অপরাধ তালিকার শীর্ষে রয়েছে মাদক, দ্বিতীয় অবস্থানে আধিপত্য বিস্তারে মারামারি ও পারিবারিক নির্যাতন।
এ বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবরের জিআর পরিসংখ্যান অনুযায়ী অপরাধপ্রবণ এলাকার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে যাত্রাবাড়ি। মামলার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, পল্লবী ও মিরপুরে মাদক ও চুরি এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ছিনতাই, চুরির মতো অপরাধ বেশি হয়।
এছাড়া ধানমন্ডি, গুলাশান, বনানী, বারিধারার মতো উচ্চবিত্তের এলাকায় প্রতারণার অভিযোগের হার বেশি। এসব থানায় ৪২০ ও ৪০৬ ধারার মামলা বেশি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার যে অংশে নগরায়ন বাড়ছে, অপরাধও বাড়ছে সেসব এলাকায়।
অর্ধশতাধিক থানা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ, এসব থানায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিলেন এই গবেষক।