সুফিয়ান ফারাবী ।।
নির্বাচন আসছে, এ কথা বললে বোধহয় ভুল হবে। নির্বাচন এসেছে শব্দটিই এখন মাননসই। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন। সব দলই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে জোটের শরীকরা আসন বণ্টন নিয়ে এখনো কিছুটা অনিশ্চয়তায়।
এখন পর্যন্ত ইসলামি দলগুলো আসন পাওয়া নিয়ে উৎকণ্ঠাতেই আছেন। যারা জোটে আছেন, তারা দাবি ও আবদার অনুযায়ী সিট বরাদ্দ পাচ্ছেন না এমন কথাই ঘুরঘুর করছে মিডিয়া ও যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
সবচে বেশি আলোচনা ২০ দলীয় জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (শায়খ মুমিন) ও খেলাফত মজলিস নিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে এক বা দুইয়ের অধিক আসন তারা পাবেন না। এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।
অন্তত ৮ থেকে ১০ টি আসন দেয়া হবে বলে আসায় বুক বেঁধে আছে জমিয়ত। ২০ দলীয় জোটের দীর্ঘ দিনের দুঃখ কষ্টের সাথী তারা। হাজার ঝড় ঝাপ্টাতেও জোট থেকে বের হয় নি। চাহিদানুযায়ী আসন না পেলে আলাদা নির্বাচন করবে এমন প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে বুধবার জমিয়তের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ মুহূর্তে তারা হতাশায় নেই। অন্তত ৫ থেকে ৭টি আসন তারা পাবেন বলেই অনেকটা নিশ্চিত হয়েছেন।
জমিয়তের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে কথা বললে আওয়ার ইসলামকে তিনি জানান, আজও (২১ নভেম্বর) ২০ দলের হাই কমান্ডের সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আশাকরি সম্মানজনক আসন পাবো।
সম্মানজনক আসন কয়টি? এমন প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদিন বলেন, ৫ থেকে ৭ টি আসন পাবো ইনশাআল্লাহ।
চারদিকে ছড়াচ্ছে জমিয়ত ১ বা ২টি আসন পাবে, এমন হলে এককভাবে নির্বাচন করারও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে, বিষটির সত্যতা কতটুকু?
এ বিষয়ে মাওলানা জয়নুল আবেদিন বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেন, আমরা ৫-৭ আসন পাবো, যদি কোনো কারণে না পাই তাহলে ব্যাপারটি আমরা পরবর্তীতে বিবেচনা করবো। এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি গণমাধ্যমে প্রকাশিত তারেক রহমানের দেয়া ৩০০ আসনের তালিকায় জমিয়তের নাম না থাকার বিষয়ে বলেন, এটা হয়তো গণমাধ্যমের বানানো রিপোর্ট। কিংবা হতে পারে এটা তারেক রহমানেরই দেয়া, তবে চূড়ান্ত নয়।
বিএনপির কাছে যে ১০ আসন চেয়ে অনড় জমিয়ত
আরআর