রোকন রাইয়ান
আওয়ার ইসলাম
একাদশ জাতীয় নির্বচানের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। কিছু দলের মধ্যে উৎসবের আমেজ চললেও কিছু দল এখনো কুয়াশায়। তারা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচনে যাবেন কিনা তা নিয়ে এখনো ভাবছেন।
৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। তবে বিএনপি বা ঐক্যফ্রন্ট বিষয়টিতে এখনো নীরব। সিদ্ধান্ত জানাবে আরও দুদিন পর। জাতীয় পার্টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করবে কাল থেকে।
ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ২০ দলীয় জোটে রয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, মুসলিম লিগ ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট। তারা দলীয় সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে আছে।
এদিকে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন জোটে আছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। দলটিও আগে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নেতৃবৃন্দ আলোচনা করছেন আসন ভাগাভাগি নিয়ে।
জাতীয় পার্টি মহাজোটে শরীক থেকেই নির্বাচন করবে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি গ্রুপ সে জোটের অংশীদার হয়ে নির্বাচন করবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামিক ফ্রন্ট, তরিকত ফেডারেশন ও জাকের পার্টি।
জোটের বাইরে এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামি বলয়ের সবচেয়ে বড় দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও এককভাবে নির্বাচন করবে।
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতা দেখানো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে তিন মাস আগ থেকেই। এককভবে ৩০০ আসনে প্রার্থীও ঘোষণা করেছে দলটি। তবে সবার জন্য সমান মাঠ প্রস্তুত হওয়ার আগেই তফসিল ঘোষণায় দলের নেতাকর্মীরা মর্মাহত হয়েছেন।
তারা বললেন, বিগত দশ বছর দেশে সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হয়নি। এবার সেটি হবে ভেবে জনগণ আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু কয়েকদফা সংলাপ করেও বিরোধী দলগুলোর দাবি দাওয়া উপেক্ষা করে তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এতে দেশের ভোটাররা সন্তুষ্ট হতে পারেনি।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ইসলামী আন্দোলন আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে। তবে সেটি কতটা কার্যকরি হয়ে সেটি নিয়ে শংসয় থেকে গেছে নেতাদের মনে।
দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান আওয়ার ইসলামকে বলেন, নির্বাচনের কার্যক্রম বিষয়ে আজ নীতি নির্ধারণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তবে আগামীকাল আরও একটি বৈঠকে পরবর্তী আপডেট জানা যাবে।
ইসলামী ঐক্যজোট এখন পর্যন্ত এককভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তেই রয়েছে। যদিও মহাজোটের শরীক হয়ে নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে বেশ কিছুদিন ধরে কথা হচ্ছিল এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে নেতারা সেটিই জানিয়েছেন।
তবে কোনো জোটের সঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ইসলামী ঐক্যজোট বোরবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করবে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় লালবাগ থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
জোট না একক নির্বাচন এমন প্রশ্নে দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা এককভাবেই নির্বাচন করার কথাই ভাবছি। মনোনয়ন ফরম কেমন বিক্রি হয় সেটা দেখে নির্ধারণ হবে কতটা আসনে প্রার্থী দেয়া হবে।
তবে জোটে যাওয়া না যাওয়ার ব্যাপারে একটু রহস্য রেখেই তিনি বললেন, শেষটা কী হয় সেটা এখনোই বলা যায় না।
এককভাবে নির্বাচন করবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনও। মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. প্রতিষ্ঠিত দলটি ঢাকাসহ সারা দেশে বেশ কিছু আসনে প্রার্থী দেবে।
দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুজিবর রহমান হামিদী আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা এককভাবেই প্রার্থী দিচ্ছি। দুই জোটের বাইরে আমরা আলাদা একটি ইসলামি জোটের চিন্তা করেছিলাম, সেটি অগ্রসর হয়নি।
খেলাফত আন্দোলনও রোববার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করবে। ১০০ বা তারও বেশি ফরম বিক্রির চাহিদা রয়েছে। তবে প্রার্থী দেয়া হবে সীমিত আকারে, এমনটাই জানা গেলো।
খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী বটগাছ প্রতীকে নির্বাচন করবেন ঢাকা ২ আসন থেকে। মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিসবাহ ঢাকা ৭ থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এছাড়াও ঢাকা ৯ আসন থেকে দলের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক হাজী আবদুল মালেক নির্বাচন করবেন এবং ব্যবসায়ী আকরাম হুসাইন মাসুদ নির্বাচন করবেন ঢাকা ৫ থেকে।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ থেকে নির্বাচন করেছিলেন এবারও সেখান থেকে নির্বাচন করতে পারেন।
ড. আফিয়া সিদ্দিকীকে দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের