আওয়ার ইসলাম: আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের আসন বণ্টনে গুরুত্ব পাবে ‘উইনেবল’ প্রার্থীরা।
যে প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার মতো, জনগণের কাছে যে বেশি গ্রহণযোগ্য তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। গতকাল রবিবার রাতে গণভবনে ১৪ দলীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন করবো তো বিজয়ী হওয়ার জন্য।
যে বিজয়ী হওয়ার মতো তাকেই মনোনয়ন দিবেন শেখ হাসিনা। ১৪ দলের শরিক দলগুলোও সার্বিক বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পণ করেছেন।
রাত সোয়া ৮টায় শুরু হয়ে রাত ১০টা ৫ মিনিটে আলোচনা শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সূচনা বক্তব্যের পর কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বক্তব্য রাখেন।
পরে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুসহ শরিক সকল দলের সভাপতিরা বক্তব্য রাখেন। সূচনা বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
আমরা টানা দুই মেয়াদে দেশের সর্বত্র ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি দেখে দেশের জনগণ আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দেবে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। দেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।
আর বিএনপি-জামায়াতরা আসলে দেশ আবারও পিছিয়ে যাবে। সন্ত্রাস-খুন-দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে যাবে। দেশে আবারও জঙ্গিদের উত্থান ঘটবে। নিশ্চয় দেশবাসী সেটি আর চাইবে না। তাই সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়ন-সাফল্যগুলো মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে গতকাল রাতে গণভবনে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সূচনা বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা টানা ৯ বছর ১০ মাস ক্ষমতায় আছি। দেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে আমরা উন্নয়ন করিনি। দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আরও এগিয়ে যাবে।
এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে দেশবাসী আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে দেশ সেবার সুযোগ দেবে। কেননা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটে। জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই ক্ষমতায় আসবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৪ দলের বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বেগম মতিয়া চৌধুরী, ১৪ দলের মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান এবং পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।