আওয়ার ইসলাম: খাশোগির হত্যাকাণ্ডের জন্য সৌদি ক্ষমতাধরদের দায়ী করে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা বেন রড্স বলেছেন, হোয়াইট হাউজের পূর্ব সম্মতি ছাড়া এতো বড় অপরাধ সংঘটিত হয়নি।
তিনি সুইজারল্যান্ডের দৈনিক ট্যাগস অ্যানজেইগারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। খাশোগি হত্যাকাণ্ডে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের হাত থাকার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে রড্জ বলেন, নিজের জীবনে বিন সালমান শুধু একটি আইন অনুসরণ করেন। আর তা হলো- ‘ক্ষমতা গ্রহণ করো এবং তা ধরে রাখো।
ওবামার এই উপদেষ্টা বলেন, বিন সালমান মনে করেন আমেরিকার সবুজ সংকেত নিয়ে তিনি যা খুশি তাই করতে পারেন। সৌদি যুবরাজকে যেকোনো অপরাধ করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য রড্জ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিন্দা জানান।
আমেরিকার সবুজ সংকেত নিয়ে বিন সালমান ইয়েমেনে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছেন, কাতারকে অবরুদ্ধে করে রেখেছেন এবং লেবাননের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন।
সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগি গত ২ অক্টাবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলস্থ সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করে নিখোঁজ হন।
দীর্ঘ ১৭ দিন খাশোগি সম্পর্কে মিথ্যাচার শেষে ১৯ অক্টোবর সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে, ওই কনস্যুলেটের ভেতর খাশোগি নিহত হয়েছেন।
সৌদি যুবরাজের সমালোচনা করার দায়ে সৌদি আরবে খাশোগির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।
তিনি যুবরাজের রোষাণল থেকে বাঁচতে দেশটি ত্যাগ করে আমেরিকায় চলে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হয়নি তার।
ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে যুবরাজের পাঠানো ঘাতক দলের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে খাশোগিকে। এমনটাই মনে করছে বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। সূত্র: ট্যাগস অ্যানজেইগার
আরো পড়ুন- ৭ বছরে নেপালে ১৫টি প্লেন বিধ্বস্ত