সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সফলতার সোনার কাঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আল্লামা মাহমূদুল হাসান

ইসলাম একটি সুস্পষ্ট জ্ঞানভিত্তিক মতাদর্শ। মানুষের জ্ঞানী ও শিক্ষিত হওয়া ইসলামের একটি মৌলিক দাবি। জ্ঞান অর্জন ছাড়া ইসলাম মানা বা বোঝা কোনওটাই সম্ভব নয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবজাতির শিক্ষক হয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আরবের মূর্খ ও অশিক্ষিত মানুষগুলোকে তিনি শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন।

মাত্র তেইশ বছরে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম জাতিটির কেয়ামত অবধি দীর্ঘ এক সফরের পথ নির্মাণ করেছেন। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান, সামাজিকতা, নৈতিকতা, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, বোধ-বিশ্বাস ও ইবাদতের যে কল্যাণমুখী ও বিস্তৃততর ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা পুরো মানবজাতির জন্য একটি বিস্ময়!

একজন মুসলমানের মূর্খ থাকার কোনও সুযোগ নেই। ইসলামে মূর্খতা অনেক বড় গোনাহ। ফরজে আইন পরিমাণ শিক্ষা না থাকলে একজন মুসলমান অনেক বড় গোনাহগার হিসেবে কবরে যাবে। হাশরের মাঠে অপরাধী হিসেবে দ-ায়মান হবে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে।

সহিশুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে পারা, হালাল-হারাম জানা, নামায, রোজা, যাকাত, হজ্ব ও আকিদার মৌলিক মাসআলাগুলো জানা থাকা একজন মুসলমানের জন্য ফরজ। এই পরিমাণ শিক্ষা অর্জন করার মাধ্যমেই একজন মানুষ সাধরণ মুসলিম বলে বিবেচিত হবেন। নয়ত সে সাধরণ মুসলমানদের কাতার থেকেও ছিটকে পড়বে।

ইসলাম নিয়ে, ইসলামের কোনও বিধান নিয়ে সমালোচনা করতে শোনা যায় আজকাল। মূর্খ, জেনারেল শিক্ষিত; ইসলাম না জানা মানুষেরা এসব সমালোচনায় লিপ্ত হচ্ছে। আবার তারা কুরআন-হাদিস থেকে দলিলও দিচ্ছে তাদের বক্তব্যের স্বপক্ষে। এটা অনেক বড় একটি বোকামি। কারণ, যার ইসলামের মৌলিক জ্ঞানই নেই তার ইসলাম বোঝার কোনও সুযোগই নেই।

আর ইসলাম নিয়ে সমালোচনা করার তো প্রশ্নই আসে না। ইসলাম নিয়ে, ইসলামের বিধান নিয়ে, আকিদা ও বিশ্বাস নিয়ে সমালোচনা-পর্যালোচনা করার জন্য ইসলামের মধ্যেই নিজস্ব একটা পদ্ধতি আছে, উন্নততর জ্ঞানতাত্ত্বিক একটা প্রক্রিয়া আছে। ইসলামের গভীর জ্ঞান ছাড়া ইসলাম নিয়ে তাই সমালোচনা করাই বোকামি। অবশ্য যে কোনও মতাদর্শের ব্যাপারে সমালোচনা করতেই সে সম্পর্কে যথেষ্ঠ জ্ঞান থাকতে হয়। কিন্তু ইসলামের সমালোচনা পদ্ধতির মতো গঠনমূলক সমালোচনা পদ্ধতি অন্য কোনও মতাদর্শেই নেই।

কুরআন, হাদিস, ইজমা, কিয়াসের পাশাপাশি উসুলুল ফিকহ ও উসুলুল হাদিসের যে বিশাল জ্ঞানভা-ার তার সামনে অন্য কোনও মতাদর্শের মৌলিকত্ব খুঁজে পাওয়াই দুস্কর। ইসলামের এই জ্ঞানতাত্ত্বিক শক্তির কারণেই ইসলাম অনন্য! হবেই না কেন? এটা তো মহান রব্বুল আলামীনের ধর্ম। যার কোনও কথা বা বাণীই অযৌক্তিক হতে পারে না। অকল্যাণকর হতে পারে না। যিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন ভালোবেসে। যিনি মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন সুন্দর পৃথিবী আর শান্তিময় জান্নাত।

আজকাল বাংলা কুরআন পড়ে, বিভিন্ন লেকচার শুনে অনেক শিক্ষিত-আধাশিক্ষিত মানুষ বিভিন্ন এবাদত ও কুরআনের আয়াত নিয়ে উল্টোপাল্টা মন্তব্য করেন। কুরআনে এমন অনেক আয়াত বা আয়াতাংশ আছে যেগুলো হয়ত পুরোই গলদ অথবা পরস্পর সাংঘর্ষিক। তোমরা নামাযের কাছেও যেও না, কুরআন দ্বারা অনেক মানুষ হেদায়েত পায় এবং অনেক মানুষ পথভ্রষ্ট হয়, যার ইচ্ছা ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছা ঈমান না আনুক, এসব আয়াত যদি ঠিক এভাবে বলে বেড়ায় কেউ তাহলে মানুষ বিভ্রান্তিতে না পড়ে উপায় নেই।

অথচ আয়াতগুলো একটাও মিথ্যা বা বাস্তবতা বহির্ভূত নয়; শুধু এর সঠিক ব্যাখ্যা জানা থাকা জরুরি। আর এরজন্য চাই দীর্ঘ অধ্যবসায়। কুরআন-হাদিসের গভীর জ্ঞান। বিশেষ করে কুরআন-হাদিসের মূল ভাষা না জেনে, শুধু বাংলা কুরআন আর বুখারি শরিফ পড়ে ইসলামিক মনীষী হয়ে যাওয়ার প্রবণতা মানুষকে ভ্রষ্টতার দিকেই ঠেলে দিতে পারে।

বিশেষভাবে একটি বিষয় আলোচনা হওয়া দরকার, হযরত আয়েশা রা. কে রাসূলুল্লাহ সা.এর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি উত্তর দেন, রাসূলুল্লাহ সা. এর চরিত্র হলো পবিত্র কুরআন। হযরত আষেশা রা. এর পক্ষ থেকে এটি খুবই চমৎকার একটি উত্তর ছিল।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পুরো কুরআনকে নিজের অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন। কুরআনের প্রতিটি আদেশ, প্রতিটি নিষেধ মানার ব্যাপারে ছিল শতভাগ আনুগত্য। কুরআনে যতগুলো মানবিক গুণ বর্ণনা করা আছে সবগুলো গুণে গুণান্বিত ছিলেন তিনি। কুরআনুল কারিমে যে কাজগুলোকে দোষ বা অপরাধ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে সেগুলো থেকে বিরত ছিলেন শতভাগ।

সব নবীই নিরপরাধ, মাসুম ও গোনাহমুক্ত। নবীদের বৈশিষ্ট্যই আল্লাহর প্রত্যেকটা আদেশ একশ ভাগ মানা এবং উম্মতকে তা শিক্ষা দেয়া। তাই নবী হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরও একই দায়িত্ব ও কর্তব্য ছিল। তিনি নিজে আল্লাহ তাআলার সব আদেশ মেনেছেন, সব নিষেধ থেকে বিরত থেকেছেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও সে অনুপাতে গড়ে তুলেছেন।

আল্লাহর বিধান, কুরআনের বিধান উম্মতের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্য সব নবীর তুলনায় বেশি ত্যাগ ও কুরবানি দিয়েছেন। এজন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নবী। তাঁর উম্মতও তাঁর দরদ, তাঁর মহব্বতের পরশ পেয়ে, তাঁকে অনুসরন করে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে।

৩৫ বছর ধরে পাঠকের আত্মিক খোরাক যোগাচ্ছে মাসিক আল জামিয়া

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন মানবজাতির সফলতার রহস্য উদ্ঘাটক। তিনি নবুওত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই রহস্য উন্মোচিত করেছেন মানবজাতির সম্মুখে। মক্কার কাফেরদের মাঝে ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা বলো, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে।’

এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি মানবজাতিকে জানিয়ে দিলেন, সফলতর একটি সভ্যতা গড়ে তোলার চাবিকাঠি আমার হাতে আছে। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনকে সফল করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পরবর্তী প্রতিটি কথা ও কাজ দৃষ্টান্তহীন ভূমিকা পালন করেছে। তিনি একটি মূর্খ ও বর্বর জাতিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম আদর্শ জাতিতে পরিণত করে দেখালেন, সফলতা এই!

আজ আমরা নিজেরাই বলতে পারি না, সফলতা আসলে কী? একজন মানুষ সফল কখন হতে পারে? সফল হওয়ার পথ ও পন্থা কী? আমরা এসব প্রশ্নের সামনে নিজেকে দাঁড় করাবার সৎসাহসটুকুও আমরা হারিয়ে ফেলেছি। মানসিক জাড্যতা, চিন্তার বৈকল্য, আদর্শিক স্খলন আমাদেরকে ঠেলে দিচ্ছে ভয়ানক এক ধ্বংসগহবরের মুখে। নিজের প্রতি, জগতের প্রতি অনীহা আর অরুচি আমাদের কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।

অথচ প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বুক টান করে বেঁচে থাকার মন্ত্র শিখিয়ে গেছেন। বলেছেন, ‘বলো, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! তোমরা সফল হয়ে যাবে।’ তিনি মানবজাতিকে সফলতার স্বর্ণশিখর স্পর্শ করার সিঁড়ি ধরিয়ে বলেছেন, ‘বলো, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ! তোমরা সফল হয়ে যাবে।’

ছোট্ট এ কালিমাটি বদলে দিতে পারে একটি মানবসভ্যতাকে। মানুষের মননে চিন্তায় ফোটাতে পারে সৌভাগ্যের ফুল। কালিমাটি পড়তে কোনও সময় বা সুযোগের বাধ্যবাধকতা নেই। যে কেউ পড়তে। যে কোনও সময় পড়তে পারে। যে কোনও অবস্থাতেই পড়তে পারে। কাজ করতে করতে, হাঁটতে হাঁটতে এমনকি শুয়ে-বসেও পাঠ করা যায়, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

এই একটি বাক্য মানুষের কর্ণকুহরে জায়গা করে দেয়ার তাগিদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পৃথিবীতে আগমন। মানুষ মিথ্যা, তাগুত ও শয়তানের পূজা করা ছেড়ে দিক। মানুষ তার স্রষ্টাকে চিনুক। রবের কথা মানুক। মানুষ সফলতার পথে চলুক। এমন মহত্তর উদ্দেশ্যগুলোকে সামনে রেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সমস্ত কাজ ও চিন্তা সমন্বিত হতো, পরিচালিত হতো।

একজন মানুষ জীবনে একবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বললেই সে মুমিন। তবে বলতে হবে অন্তরে বিশ্বাস নিয়ে। কারও মুখে কালিমা আছে কিন্তু অন্তরে নেই, সে মুমিন হতে পারবে না। সে মুনাফিক। কারও অন্তরে কালিমা বা আল্লাহর বিশ্বাস আছে কিন্তু মুখে নেই, সে শুধুই ঈমানদার; পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হওয়ার জন্য আল্লাহকে বিশ্বাস করার পাশাপাশি, নবীগণ, কিতাবসমূহ, ফেরেশতাগণ, পরকাল, তাকদির ইত্যাদিতে বিশ্বাস রাখতে হবে।

আর ঈমানকে মজবুত করতে, পূর্ণাঙ্গ মুসলিম হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাতে এই বিশ্বাসের পাশাপাশি থাকতে বিশ্বাসের গভীরতা। অন্তরের গভীর থেকে পড়তে হয় এই কালিমা। যেন এর দ্যুতি ভেতরে প্রবেশ করে আলোকিত করে দেয় সব।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আমাদের দেহ, চোখ, কান, মুখ সব খুবই সুন্দরভাবে, সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর কোনও মানুষ, সে মুসলিম হোক বা অমুসলিম হোক, তার কোনও একটা অঙ্গ পরিবর্তিত হয়ে যাক, এটা চায় না। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা যেভাবে সৃষ্টি করেছেন সেভাবেই সে থাকতে চায়। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন, ‘আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছি।’ -সুরা তীন।

আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি, আল্লাহ তাআলার শক্তি, আল্লাহ তাআলা সিদ্ধন্তকে আমরা পরিবর্তন করতে পারি না। মানুষের শক্তির উর্ধ্বে যে কাজ, যে কাজে মানুষের কোনও সামর্থ্য নেই; আল্লাহ তাআলাকে সেক্ষেত্রে আমরা  স্রষ্টা মানি। আল্লাহ তাআলার বাণী, আদেশ, নিষেধের ক্ষেত্রে আমাদের ভেতরে এক ধরনের গোঁড়ামি তৈরি হয়ে যায়। এটা একটা ব্যাধি। এ ব্যাধি থেকে মুক্ত হওয়ার একটাই উপায়, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বেশি বেশি পড়া, এর মর্ম উপলব্ধি করা, আল্লাহ তাআলার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করা।

সুন্নতের শিক্ষা চালু করলেই ঘরে শান্তি আসবে : আল্লামা মাহমুদুল হাসান

আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টি করার পর তার প্রেমে পড়েছেন। তাকে ভালোবেসেছেন। আকাশ, বাতাস, আগুন, পানি, পৃথিবী, গ্রহ, নক্ষত্র, এসব সৃষ্টি করার পর তাদের প্রেমে পড়েননি। মানুষকে সৃষ্টি করার পর তার প্রেমে পড়েছেন। তাই তাঁর সব সৃষ্টিকে মানুষের খেদমতে নিয়োজিত করেছেন।

পৃথিবীটাকে মানুষের জন্য একটা মেহমানখানা হিসেবে সাজিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি স্রষ্টা হিসেবে, মানুষের আশেক হিসেবে মানুষের কাছে কিছু আবদার করেছেন। তাঁকেও একটু ভালোবাসতে, তাঁর প্রণীত সুন্দর ও সুশৃঙ্খল জীবনব্যবস্থায় চলতে বলেছেন। কিন্তু মানুষ আল্লাহ তাআলার সে আবদার ঠিকঠাক রাখেনি, রাখছে না।

মানুষ আল্লাহ তাআলার দেখানো সফলতার পথে না হেঁটে এবড়োখেবড়ো পথে, মরীচিকার পথে হাঁটতে শিখে নিয়েছে। ফলে আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা থেকে, আশ্রয় থেকে দিনদিন দূরে সরে যাচ্ছে। বিশেষ করে আজ পৃথিবীতে মুসলমানরা পদদলিত। অপদস্ত। লাঞ্ছিত। নির্যাতিত। আল্লাহ তাআলার প্রতি বিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও তাদের এ অবস্থা কেন? তারা আল্লাহকে বিশ্বাস করেছে ঠিক, তার কথা ও বাণী মেনে চলছে না।

মুসলমানরা আজ আল্লাহর কিতাব ও তাঁর হাবিবের আদর্শ থেকে ছিটকে পড়েছে। তারা তাগুতি জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। গোনাহকে গোনাহ মনে করছে না। ভালো ও সুন্দরকে তারা মর্যাদা দিচ্ছে। মিথ্যা, কপটতা, অন্ধত্ব ও কদাচারকে তারা নিজেদের জীবনের জন্য রোল-মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং তার নাম দিয়েছে আধুনিকতা। যা নির্ঘাত আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সরাসরি অভিশাপ।

আল্লাহ তাআলার এ অভিশাপ থেকে বাঁচতে হলে কালিমার পতাকা আকড়ে ধরতে হবে। ঈমানের বলে বলীয়ান হতে হবে। আল্লাহ তাআলার দেখানো পথে চলতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদর্শকে নিজের আদর্শ বানাতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।

সৌজন্যে : মাসিক আল জামিয়া

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ