আওয়ার ইসলাম: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষনা করা হবে আগামীকাল বুধবার। এ রায়কে ঘিরে কোন ধরনের জঙ্গি কিংবা সন্ত্রাসী হামলার কোনো শঙ্কা না থাকলেও সর্তক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এরইমধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। রাজধানী বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ও চেকপোস্ট থাকবে। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকেও দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ সদস্যরা।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, রায় ঘোষণার দিন আসামি ও রাজধানীবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে আদালতের চারপাশের সড়কে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ আদালতে তল্লাশি চলবে এবং চেকপোস্ট বসানো হবে। এছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পুলিশ সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৫ সহস্রাধিক সদস্য এসব দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
সূত্র আরো জানায়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জড়িত থাকায় নয়াপল্টনসহ দলটির অধ্যুষিত কয়েকটি এলাকায় বিশেষ নজরদারি থাকবে।
রায়ের পর কেউ যাতে সড়কে নেমে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটাতে পারে, নাশকতা করতে না পারে সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ।
এ ব্যাপারে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রায় ঘোষণার দিন কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার কোনো থ্রেট নেই।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ও চেকপোস্ট থাকবে।’
মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, বুধবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাজনিত কোনো হুমকি নেই এবং নিরাপত্তা বিঘ্ন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
রায়কে ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। নগরবাসীর জান-মালের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ প্রস্তুত। আমাদের নজরদারি রয়েছে।
এ রায়কে কেন্দ্র করে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল সহিংসতার চেষ্টা করলে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। কোনো ধরনের অপতৎপরতা বরদাসত করা হবে না। এটা আদালতের একটা স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই দুই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষের রায় ঘোষণার জন্য আগামী ১০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। আলোচিত এই মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং ২০ জনের সাফাই সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
আরো পড়ুন-
সম্ভাবনার স্বীকৃতি বনাম শঙ্কার ভবিষ্যৎ
আল্লামা শফিকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর পোস্ট; শালিসে ক্ষমা প্রার্থনা
‘মুফতি ইজহার হেফাজতের কেউ নন, তার দাবি পাগলের প্রলাপ’