আওয়ার ইসলাম: বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোও সময়ক্ষেপণ না করে রাজপথে সরগরম থাকতে চাইছে এ মুহূর্তে।
তবে বর্তমানে দলগুলো নিজেরা মানববন্ধন ও সভা-সমাবেশ করবে। নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর ঐক্যবদ্ধ বা যুগপৎ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা।
কিছু কওমি কিছু হেফাজত ও চেতনার আস্তিন
জানা গেছে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে দল ও জোটের সমন্বয় সাধনে শিগগিরই গঠিত হতে যাচ্ছে লিয়াজোঁ কমিটি।
বিএনপি ও যুক্তফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকাবিরোধী কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের আলোচনার জন্য প্যানেল কমিটি করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ কমিটি করা হয়।
এ প্যানেল কমিটিতে যুক্তফ্রন্টের পক্ষে আছেন জেএসডি সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব) আবদুল মান্নান।
বিএনপির পক্ষে আছেন, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
যুক্তফ্রন্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী দু-একদিনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ও বিএনপির প্যানেল আলোচকদের বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে ৫ দফা দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করতে জোটবদ্ধ আন্দোলন, কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে।
বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার সমন্বয় সাধনে গঠন করা হবে লিয়াজোঁ কমিটি। এসব বিষয়ে দু-একদিনের মধ্যেই বিএনপির সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন।
আজ তার দেশে ফেরার কথা। ড. কামাল দেশে ফিরলেই বিএনপির সঙ্গে লিয়োজোঁ কমিটি চূড়ান্ত করা হবে। লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পর রাজপথের কর্মসূচি নির্ধারণে সিদ্ধান্ত নেবেন বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত দলগুলো।
বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনে অন্যতম ভূমিকা পালনকারী গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, খুব শিগগিরই বিএনপির সঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরু করবেন।
সেই বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনসহ পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। এর পরই মাঠের কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, জামায়াতকে বাদ দিয়েই ঐক্য হচ্ছে। এটি তো জামায়াত মেনে নিয়েছে। সুতরাং এখন আর কোনো সমস্যা হবে না।
বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়াকে কার্যকর রূপ দিতে বিএনপি যথেষ্ট আন্তরিক ও সক্রিয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বরের সমাবেশে বৃহত্তর ঐক্য প্রক্রিয়ার স্বার্থেই বিএনপি জামায়াতকে বাইরে রেখে এককভাবে আয়োজন করে।
দলটির অন্য কর্মসূচিতে জামায়াত উপস্থিত থাকলেও সেই সমাবেশে দলটিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। সমাবেশ থেকে বিএনপির উত্থাপিত ৭টি দাবিও ঐক্য প্রক্রিয়ার ঘোষিত ৫ দফা দাবির কাছাকাছি।
এজন্য বিএনপি সমাবেশ থেকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার থেকে এখন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জানিয়েছে। যেটি যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ারও প্রধান দাবি।
আরো পড়ুন-
বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে লিঁয়াজো কমিটি গঠন
আলেমদের অপপ্রচার বন্ধ করুন; আপনাদের ইতিহাসও আমাদের জানা
দুর্নীতি মামলায় নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফ গ্রেফতার