সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


'শিক্ষার্থীরা স্বীকৃতির মূল্যায়ন করলে সরকার মেধার মূল্যায়ন করবে'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর কওমি শিক্ষা সনদের স্বীকৃতির বিল সংসদে চূড়ান্তভাবে পাস হয়েছে। আনন্দে ভাসছে  আলেম ওলামা ও কওমি শিক্ষার্থীরা। এই স্বীকৃতির দাবীর সূচনা কবে থেকে হয়েছে, কোন কোন ওলামায়ে কেরাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, স্বীকৃতিকে আমাদের কীভাবে মূল্যায়ণ করা উচিৎ এবং শেখ হাসিনা সরকারকে সংবর্ধনাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে  কথা হয়-  আল্লামা আশরাফ আলীর সাথে।

আল্লামা আশরাফ আলী আল হাইয়াতুল উলইয়ার কো চেয়ারম্যান, এবং বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি। গতকাল মালিবাগ জামিয়ায় প্রবীন এ আলেমে দীনের সাথে কথা বলেন আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক ইসমাঈল আযহার

মাদরাসা সভ্য পৃথিবীর অহঙ্কার

আওয়ার ইসলাম : কওমি শিক্ষা সনদের দাবি প্রথম কবে এবং কারা উত্থাপন করে?

আল্লামা আশরাফ আলী: ১৯৭৮ সালে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার পক্ষ থেকে আমরা সর্বপ্রথম স্বীকৃতির দাবি করি। এখন অবশ্য অনেকে এমন দাবি করছে যে তারা প্রথম দাবী উত্থাপন করেছে, কিন্তু তাদের এই দাবি সঠিক নয়।

আওয়ার ইসলাম: এ যাবৎ স্বীকৃতির আন্দোলন সংগ্রামে আলেমদের মধ্যে কারা বেশি ভূমিকা পালন করেছেন?

আল্লামা আশরাফ আলী:  ওলামায়ে কেরাম মধ্যে কারা বেশি ভূমিকা রেখেছে এ ব্যাপারে যদি একক কোনো ব্যক্তির নাম বলি তাহলে বলবো শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ, এর কথা। স্বীকৃতির পেছনে তাঁর ভূমিকা অসামান্য।

এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার

আওয়ার ইসলাম: যদি এককভাবে না বলে যৌথভাবে বলেন, তাহলে কাদের কথা বলবেন?

আল্লামা আশরাফ আলী: মাওলানা আতহার আলী রহ, আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী রহ., আল্লামা নুরুদ্দিন গহরপুরী রহ, খতিব ওবায়দুল হক রহ., মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ., মুফতি আব্দুর রহমান ,মাওলানা মুহিউদ্দীন খান রহ., মাওলানা সৈয়দ ফজলুল করীম রহ., মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী রহ. মাওলনা আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহয়াহ রহ. প্রমুখ সময়ে সময়ে তাদের অবদান এবং ভূমিকার ফলে আজ স্বীকৃতি আলোর মুখ দেখেছে।

আওয়ার ইসলাম: কওমি স্বীকৃতির দাবির সূচনা থেকে স্বীকৃতির বিল চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত আপনার ভূমিকা কী ছিল?

আল্লামা আশরাফ আলী: এ দাবি আদায়ের শুরুর থেকে আমি এর সঙ্গে ছিলাম, স্বীকৃতির জন্য আমি অনেক কষ্ট মুজাহাদা করেছি। আমি ২০০৬ সালে ১৬ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকার মুক্তাঙ্গনে হাজার হাজার ছাত্র জনতা, ওলামাদের নিয়ে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাগাতার ৫ দিন অবস্থান কর্মসূচি পালনে আল্লামা আজিজুল হক রহ. এর সঙ্গে আমিও ছিলাম।

ঐক্যজোট ও হেফাজত থেকে কি সরে দাঁড়াচ্ছেন মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী

আওয়ার ইসলাম: বর্তমান সরকারের আমলে আপনারা যেভাবে চেয়েছেন ঠিক সেভাবে বিল পাস হয়েছে বিষয়টিকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ণ করবেন?

আল্লামা আশরাফ আলী: আল্লামা শাহ আহমদ শফী দামাতবারকাতুহুমের ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্বের ফলেই আজকের এ স্বীকৃতি এতটা সহজ হয়েছে। হাজারো আকাবির ও আসলাফের মনের বাসনা হজরতের মাধ্যমে পূর্ণ হয়েছে। হজরতের প্রতি এ দেশের আলেম ওলামাদের দায় ও কৃতজ্ঞতা সারা জীবনের।

না চাইতেই সহজে যে জিনিস পাওয়া যায়, তার কদর কম করে মানুষ। এজন্য আমি বেফাকের শুকরিয়া মিছিলেও বলেছিলাম আমরা যেন স্বীকৃতির যথাযথ মূল্যায়ন করি।

আশা করছি, কওমি শিক্ষার্থীরা স্বীকৃতির মূল্যায়ন করলে সরকার তাদের মেধার মূল্যায়ন করবে। তারা ইসলামের কাজে আরো বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে।

আওয়ার ইসলাম: ওলামায়ে কেরামবাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেবেন, এ ব্যাপারে আমরা অবগত হয়েছি। সংবর্ধনার প্রস্তুতি বিষয় যদি কিছু বলতন...

আল্লামা আশরাফ আলী:  সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাস্তবায়রে লক্ষ্যে হাইয়াতুল উলইয়া ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। রাজধানীর কোনো একটি অডিটরয়ামে আমরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি করব  বলে ভেবেছি।

আওয়ার ইসলাম: সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দিন তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে কি?

আল্লামা আশরাফ আলী: না, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের দিন তারিখ এখনো নির্ধারন করা হয়নি। আমরা পরামর্শ করব এ ব্যাপারে যে অনুষ্ঠান কবে কোথায় কীভাবে হতে পারে। আশা করি, খুব শিঘ্রই আমরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করব।

কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন

আরও পড়ুন: হেফাজত, কওমি স্বীকৃতি ও সংবর্ধনা বিষয়ে দীর্ঘ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ