আওয়ার ইসলাম: রংপুরে সন্ধান মিলেছে ডাক্তার তৈরির কারখানার। ১০ হাজার টাকায় ২৬ দিনের প্রশিক্ষণ শেষ করে মিলবে সনদ।
নিজের নামের সঙ্গে ডাক্তার লিখে যে কেউ চেম্বার খুলে বসতে পারবেন। গত ছয় মাস ধরে নগরীর প্রাণকেন্দ্রে ডিসি-এসপি-সিভিল সার্জনের বাসভবনের কয়েকশ’ গজের মধ্যে এই তুঘলকি কার্যক্রম চলছে বহাল তবিয়তে ।
চাকরি যখন সোনার হরিণ, তখন শত শত মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ১০ হাজার টাকায় ডাক্তার হবার সুযোগ নিতে বিপিডি এর দরবারে। এরই মধ্যে অন্তত ১২শ’ ডাক্তার তৈরি হয়েছে এখানে। অনেকে আসছেন নতুন ব্যাচে প্রশিক্ষণ নিয়ে ডাক্তার হতে ।
তারা বলেন, সঠিক জিনিসটা জানতে এবং সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করতেই তারা ছয় মাসের এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ প্যারা-মেডিকেল ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব পরিচয়ে ডাক্তার রফিকুল ইসলাম এর পরিচালক ও প্রধান প্রশিক্ষক।
নিজের নামের সঙ্গে ডাক্তার লেখা বেআইনি মেনে নিলেও এভাবেই ডাক্তার তৈরির খোঁড়া যুক্তিতে অটল তিনি।এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যদি চিকিৎসাই দিতে না পারি তবে আমাদের কেন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে ?
বিএমএ নেতারা ডাক্তার তৈরির এই কারখানার খবর জানলেও সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা নেননি। আর সিভিল সার্জনের কথায় ঝড়ছে প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়ের সুর।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগের সভাপতি ডাক্তার দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার মনে হয় এটা কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাবে।
কারণ এখান থেকে যারা প্রশিক্ষণ নেবেন তারা কিছুই করতে পারবেন না। এছাড়া এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ ডাক্তার লিখতে পারবেন না।
রংপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার জাকিউল ইসলাম বলেন, একটা জিনিস শুরু হলে সেটা বিনাশ করা কঠিন। এটি বন্ধ করার উদ্যোগ আমাদেরকেই নিতে হবে।
গত ছয় মাসে প্রশিক্ষণ ও সনদ দিয়ে এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রফিকুল ইসলাম। এই প্রতারণার দায় কেউ না নিলেও যে এক হাজার দুইশো জন ডাক্তার সেজে জনস্বাস্থ্যকে হুমকির মুখে ফেলবেন, তার দায় কে নেবেন এটাই এখন বড় প্রশ্ন।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
আরও পড়ুন: হেফাজত, কওমি স্বীকৃতি ও সংবর্ধনা বিষয়ে দীর্ঘ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী