আওয়ার ইসলাম: শাহবাগে সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। একই দাবিতে তারা শনিবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ আতিকুর রহমান সকালে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘দাবি না মানা পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। শনিবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে মহাসমাবেশ করবেন।’
৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে শাহবাগের চৌরাস্তার মোড়ে স্বল্পসংখ্যক তরুণ বসে পড়েছেন এবং তারা ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করছেন।
টিএসসি থেকে বিএসএমএমইউ, মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ হয়ে কাঁটাবনগামী রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। এ সব রাস্তায় কোনো ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল করছে না।
এর আগে ৩ অক্টোবর বুধবার মধ্যরাত থেকে বিক্ষোভের অংশ হিসেবে শাহবাগের রাস্তায় বসে পড়েন এবং রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে তারা প্রতিবাদ শুরু করেন।
শাহবাগের চার রাস্তার মোড়ে অবস্থান নেওয়ায় রাতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওই রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনগুলো রুট পরিবর্তন করে চলাচল করে। এর প্রভাবে মধ্যরাতেও অনেক রাস্তায় যানজট দেখা গেছে। ভোগান্তিতে পড়েন অনেক মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভােরের দিকে শাহবাগে অবস্থান নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের নেতাকর্মীদের সড়ক ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তারা পুলিশের কথায় রাজি হয়নি। পরে কিছু সময় রাস্তা ছাড়লেও সকাল ৯টা থেকে ফের অবস্থান নিয়েছেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের এডিসি এইচ এম আজিমুল হক জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রতিবাদে করা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ভােরের দিকে দেখা করেছে।
তাদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। তাদের সাথে কথা হয়েছে। তারা কথা রেখেছিল। কিন্তু ৯টা থেকে আবারও অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরি) পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে রাস্তায় নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
আরও পড়ুন: হেফাজত, কওমি স্বীকৃতি ও সংবর্ধনা বিষয়ে দীর্ঘ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী