আওয়ার ইসলাম: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় সরকারিভাবে মসজিদ মাদরাসায় বরাদ্দকৃত ‘জিআর’ বা খয়রাতি সাহায্যের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার ৩২ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে ২ টন করে চাল বরাদ্দ থাকলেও পেয়েছে মাত্র ১ টন করে। তাও আবার চাল না দিয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করে দিয়েছে এলাকার চিহ্নিত ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
শতবর্ষ পরে ফিরে দেখা ইতিহাস বঙ্গভঙ্গ ও মুসলিম লীগ
এ ঘটনা এলাকায় ফাঁস হয়ে গেলে এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইছে উপজেলার সর্বত্র।
৩২টি মসজিদ, মাদরাসার অনেকগুলো কাগজপত্রে স্বাক্ষর করলেও প্রায় অর্ধেকেরও বেশি এখন পর্যন্ত কোনও চাল বা টাকাও পায়নি বলে সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে দাবী করে বরাদ্দকৃত পুরো চাল বা চালের অর্থ ফেরত চাইছেন।
অভিযোগে জানা যায়, রাজৈর ইউএনও ২৭ জুন উপজেলার ৩২টি মাদরাসা, মসজিদ ও এতিমখানার নামে খয়রাতি সাহায্যের দুই টন করে চাল উপ-বরাদ্দ দেয়া হয়।
এ উপ-বরাদ্দকৃত চাল স্থানীয় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার তদারকিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশ অনুসরণ করে বিতরণ করার নির্দেশনা থাকলেও হয়েছে তার উল্টো।
বিভিন্ন কুটকৌশল ও প্রভাব খাটিয়ে, নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে ইচ্ছে মতো দুই টন চালের পরিবর্তে এক টন চাল অথবা ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা প্রতিষ্ঠান কমিটির হাতে দিয়ে দায় সেরেছে।
আপনার ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
আর এ কাজটি করেছে সিন্ডিকেটের নির্দিষ্ট কয়েকজন সদস্য। তারা বলেছে, এ টাকা না নিলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে। উপায়ান্ত না দেখে সব হারানোর ভয়ে যা পেয়েছে তা-ই হাত পেতে নিয়েছে সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠান।
এ ব্যাপারে টেকেরহাট ফুট গোডাউনের ওসিএলএসডি গাজী সালাউদ্দিন জানান, আমরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ডিওর পরিপ্রেক্ষিতে চাল ডেলিভারি দিই।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এইচএম মাহবুব হোসেন জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিন বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
আরও পড়ুন- সভাপতিকে না জানিয়েই মুসলিম লীগের কাউন্সিলের অভিযোগ
-আরএম/