রকিব মুহাম্মদ, এ এস এম মাহমুদ হাসান: তাবলিগের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণকে ওলামায়ে কেরামের পরামর্শে চলার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা ১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক আসলাম।
তিনি বলেন, তাবলিগের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের চলতে হবে। অসুখ হলে যেমন রোগী ডাক্তারের কাছে যায়, শিক্ষা নিতে শিক্ষকের কাছে, তেমনিভাবে বর্তমান তাবলিগের উদ্ভুদ পরিস্থিতে আলেম ওলামার পরামর্শে আমাদের চলতে হবে।
তাবলিগ জামাতে চলমান পরিস্থিতিতে উলামাকে কেরামের অবস্থান স্পষ্ট করার লক্ষ্যে রাজধানীর মিরপুরে ১২ নাম্বার হারুন মোল্লাহ ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ওয়াজাগাতী জোড়ে তিনি এ কথা বলেন।
এমপি আসলাম বলেন, আমি আমার এলাকার ১৪৪ টি মসজিদের ইমামদের পরামর্শ নিয়েছি।আমি বিশৃঙ্খলাকারী গ্রুপকে বোঝানোর জন্য ইমামদের নির্দেশ দিয়েছি। বলেছি আপনারা অালেমদের সাথে বসুন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সরকার কওমি মাদরাসা ও অালেমদের পক্ষে। সরকার অালেমদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। তাবলীগে বিশৃংখলাকারীদের সঙ্গে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই।
এসময় তিনি তাবলিগে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদের প্রতিহতের ঘোষণা দেন।
জোড়ে কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্য মাওলানা যুবাইর আহমদ, জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক, আরজাবাদ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, কাপাশিয়ার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, শাইখুল হাদীস মাওলানা সাজিদুর রহমান, উত্তরা আল মানহাল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, টঙ্গি দারুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাসউদুল করিম প্রমুখ ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত রয়েছেন।
জোড়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীসহ দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম এবং তাবলিগের কাকরাইল মারকাজের শীর্ষ মুরব্বিরা উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
জোড়ে উপস্থিত বক্তাগণ বলেন, তাবলিগ জামাতের বয়ান, আমল, তালিম, মশওয়ারা কোনো কিছুতেই আমির নিযুক্ত নেই। এমনকি বিশ্ব ইজতেমায় কে বয়ান করবেন আর কে ইমামতি ও মুনাজাত করবেন তাও নির্ধারণ করা থাকে না কোনো সময়। যুগ যুগ এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই এমন নেজাম পাল্টে নিজেকে সবকিছুর আমির দাবি করে বসলেন মাওলানা সাদ।
তারা বলেন, তাবলিগে এখন একটিই মাত্র সমস্যা মাওলানা সাদ। তার বিভ্রান্তি, দীনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বক্তব্য বাদ দিলেই তাবলিগ আগের অবস্থানে চলে আসতো। কিন্তু সেটা তিনি না করে পুরো তাবলিগ জামাতকে দ্বিখন্ডিত করে দিলেন।
বক্তারা আরও বলেন, উলামায়ে কেরাম তাবলিগের কোনো মজমা বা মারকাজ দখলে নিতে চায় না, তারা চায় তাবলিগ ও দীনি কাজ চলুক প্রশ্নহীন ভাবে। ইখলাস পরিপন্থী কিছু যেন এ কাজে না প্রবেশ করে।
মিরপুরে চলছে ওয়াজাহাতি জোড়; বয়ান করছেন আলেমগণ
-আরআর