রোকন রাইয়ান
আওয়ার ইসলাম
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মহারণ শুরু হয়েছে। এখনো তফসিল ঘোষণা না হলেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠ দাপিয়ে বেরাচ্ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। আর ঢাকায় চলছে শীর্ষ রাজনীতিবিদদের জোট সমিকরণ।
এবারের নির্বাচন সব দলের জন্যই এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। সামনে আনছে নানারকম হিসাব। বিশেষ করে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা, আসলে কেমন হবে হিসাব, না এলেই বা কেমন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, আলেম সমাজের সমর্থন এমন নানা সমিকরণ প্রতিনিয়ত ঘুরপাক খাচ্ছে চায়ের টেবিলে।
তবে সব ছাপিয়ে এবার অন্যরকম আলোচনায় আলেম রাজনীতিবিদগণও। তারাও এবার রাজনীতির আসন বাটোয়ারায় সমান হিস্যার অংশিদার। সেদিক থেকে হিসেব করেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন আগামী সংসদে অন্তত ডজনখানেক আলেমকে দেখা যেতে পারে।
তবে বিষয়টি নির্ভর করছে অনেকগুলো হিসেবের ওপর। সে হিসেব শেষ পর্যন্ত ঠিক থাকলে তবেই সম্ভব এর আখের দেখা।
এখন পর্যন্ত শেষ হিসেবে যতদূর জানা যাচ্ছে, বিএনপি নির্বাচনে আসবে। এমনকি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারান্তরিণ থাকলেও। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে কয়েকটি ইসলামি দল রয়েছে যারা নির্বাচনে প্রার্থিতা করবে।
এছাড়া এবারই প্রথম ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে সরাসরি নির্বাচন করছেন বেশ কয়েকজন আলেম। যাদের অনেকেই আগামী সংসদে নিশ্চিতভাবেই উঠে আসবেন এমন ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
হেফাজতসহ অন্যান্য ধর্মীয় ইস্যুতে আওয়ামী লীগের প্রতি আলেমরা দীর্ঘ দিন বিতশ্রদ্ধ থাকলেও বর্তমানে তা অনেকটাই কেটে গেছে। কওমি স্বীকৃতি আইন পাশের পর হয়েছে সম্পর্কের উন্নতি। আর এ কারণে অনেক আলেমকেই এবার সরাসরি কিংবা জোটের মাধ্যমে নৌকার হয়ে নির্বাচন করতে দেখা যাবে।
রকমারিতে চলছে ট্যুরিজম বুক ফেয়ার
নৌকার হাল ধরে...
নৌকা প্রতীকে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার প্রিন্সিপাল, আল্লামা শামসুল হক ফরিদপুরী রহ. এর ছেলে মুফতি রুহুল আমীন। নড়াইল ১ আসনে তার কর্মীবাহিনী জোড়ে শোরেই প্রচারণায় নেমেছেন।
জানা গেছে তিনি দলীয় প্রধানের পক্ষ থেকে নির্বাচনের জন্য গ্রিন সিগন্যালও পেয়েছেন।
বিশ্লেষণরা বলছেন, নড়াইলে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক ও মুফতি রুহুল আমীনের ধর্মীয় ইমেজ কাজে লাগাতে পারলে এখান থেকে সহজেই জাতীয় সংসদে উঠে আসতে পারেন তিনি।
মুফতি রুহুল আমীন নড়াইল ১ আসন থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিলেও বা এলাকাবাসী চাইলেও তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা নড়াইলে নয়। তিনি গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গার সন্তান ও সেখানেই তার অবস্থান। এ দিক থেকে তিনি কিছুটা ব্যাকফুটে থাকতে পারেন। তবে নড়াইলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট সম্পর্ক ও আত্মীক যোগাযোগ রয়েছে অনেক আগ থেকেই।
এখন পর্যন্ত সরাসরি নৌকায় একজন আলেমকে দেখা গেলেও এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও গুঞ্জন আছে।
ইসলামী ঐক্যজোট
মুফতি রুহুল আমীন ছাড়াও সরাসরি ক্ষমতাসীন দলের ব্যানার বা তাদের সাপোর্টে নির্বাচন করতে পারে ইসলামী ঐক্যজোট।
সে ক্ষেত্রে সিনিয়রদের মধ্যে দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী (নরসিংদী-১), ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ (চট্টগ্রাম-৭), সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন (কুমিল্লা-১) থেকে প্রার্থী হবেন।
এছাড়াও ইসলামী ঐক্যজোটের ঢাকা মহানগরীর যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ তৈয়ব হোসাইন (ময়মনসিংহ-২), সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন (কুমিল্লা-২), কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মেহেদী হাসান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। অন্যরা যেখানে পার্টটাইমে রাজনীতি করেন তিনি সেখানে ফুলটাইম রাজনীতিক। অভিজ্ঞতা ও রাজনীতির মাঠ চষে বেড়ানোদের মধ্যে তাকে রাখতে হয় শীর্ষে।
মুফতি ফয়জুল্লাহ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বেড়ে উঠেছেন। সেখান থেকেই তিনি নির্বাচন করবেন। এলাকার উন্নয়নে জনগণের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই মিশে আছেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে এলাকায় যাতায়াত ও মানুষের সঙ্গে ওঠাবসাও বেশ।
রাঙ্গুনিয়ায় বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের হাসান মাহমুদ। এর আগে বিএনপির সালাহুদ্দীন কাদের চৌধুরী এমপি ছিলেন। সাকা পরিবারের যে ইমেজ ছিল এলাকায় তা যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে অনেকটাই ম্লান। আ’লীগের সাপোর্ট পেলে মুফতি ফয়জুল্লাহ সহজেই উঠে আসতে পারেন এ আসনে।
সুবিধাবাদি, ভণ্ড আলেম এ তকমা যেন না লাগে গায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-আশুগঞ্জ থেকে এর আগে এমপি হয়েছেন ইসলামী ঐক্যজোটের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনী। এ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারই ছেলে মাওলানা আবুল হাসনাত আমিনী। বাবার মতো ছেলেও এলাকার মানুষদের জন্য ঘাম ঝরাচ্ছেন দিন রাত।
তবে মুফতি ফজলুল হক আমিনী তৎকালীন ৪ দলীয় জোট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছিলেন। মাঠটি যদি সেভাবে তৈরি থাকে তাহলে ছেলে হাসনাত আমিনীর পক্ষে অন্য প্রতীকে আসন উদ্ধার করা চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মুফতি মুহাম্মদ তৈয়ব ও মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজীও নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পুরোদমে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
বিএনপি নির্বাচনে এলে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি মহাজোট থেকেই নির্বাচন করবে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোটে থাকা বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এক বা একাধিক নেতাকে দেখা যেতে পারে জাতীয় সংসদে।
এদের মধ্যে শর্ট লিস্টে রয়েছেন, বাংলাদেশের খেলাফত মজলিসের আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান (সিলেট ১), সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী (নরসিংদী-৫), নায়েবে আমীর মাওলানা যোবায়ের আহমদ আনসারী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), মাওলানা রেজাউল করিম জালালী (সিলেট-৫), যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ (শরীয়তপুর-১), মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন (কিশোরগঞ্জ-৬)।
তবে বিএনপি নির্বাচনে এলে এবং জাতীয় পার্টি মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচন করলে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ২ বা ৩ এর অধিক আসন পাবেন না বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।
সেক্ষেত্রে মাওলানা হাবিবুর রহমান ও মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমিনকে এগিয়ে রাখতে হচ্ছে হিসেবে।
দাওরায়ে হাদীসের স্বীকৃতি; অজ্ঞদের সমালোচনা ও বাস্তবতা
তবে জাতীয় পার্টি আলাদা নির্বাচন করলে হিসাব হবে অন্য রকম। সেক্ষেত্রে দলটি অর্ধশতাধিক আসনে নির্বাচন করতে পারে। কিন্তু কোনো আসন পাবে না বলেই ধারণা। কারণ জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য ভোটব্যাংক নেই। তাছাড়া তখন ধর্মীয় অন্যান্য দলের প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে মাঠে থাকবে।
শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. প্রতিষ্ঠিত দলটিতে তার দুজন ছেলে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তারা আপাতত নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তেই রয়েছেন।
শাইখুল হাদিসের ছেলেদের মধ্যে মাওলানা মামুনুল হক যুব মজলিসের সভাপতি। জাতীয় পার্টির সঙ্গে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঐক্য নিয়ে তিনি বিপরীতমুখী অবস্থানে। এ কারণে নির্বাচনেও দেখা যাবে না আপাতত।
তবে জামিয়া রাহামানিয়ার প্রিন্সিপাল ও দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক নির্বাচন করা না করা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। তার এলাকা মুহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকা ৭ (লালবাগ-চকবাজার) আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন এমন জনশ্রুতিও রয়েছে।
২০ দলীয় জোট থেকে আসতে পারেন যারা
এদিকে বিএনপি নির্বাচনে এলে ২০ দলীয় জোট থেকে অনেক আলেম প্রার্থী হবেন। বিএনপি এবং ধর্মীয় ভোট ব্যাংক এক হয়ে আলেমদের একাধিক আসন সেখান থেকে নিশ্চিত হতে পারে সহজেই।
এ জোট থেকে তালিকার সম্ভাবনার স্থানে থাকবেন, জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী (হবিগঞ্জ ১), মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী (হবিগঞ্জ-২), সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক (সিলেট ৫), যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী (সুনামগঞ্জ-৩), মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী (নিলফামারী ১), মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ (সুনামগঞ্জ-১), সিলেট জেলা জমিয়তের সভাপতি শায়খ জিয়াউদ্দীন (সিলেট ১), প্রিন্সিপাল মাওলানা শোয়াইব আহমদ ( সুনামগঞ্জ-২)।
এছাড়াও জমিয়তের অপর গ্রুপ থেকে নির্বাচন করবেন দলের চেয়ারম্যান মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস (যশোর ৫)। দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন ইকরামসহ আরও অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
২০ দলীয় জোট থেকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ৫০ আসন দাবি করবে। এ পরিমাণ আসনেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলের নেতাগণ। তবে এদের মধ্যে ইতোপূর্বে সংসদে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস ও মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীর। ধারণা করা হচ্ছে এবারও এ দুজন সংসদে আসতে পারেন। বাকিদের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
তবে মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক ও মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীসহ বেশ কয়েকজন নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন অনেকদিন থেকেই। জয়ের ব্যাপারে তারাও আশাবাদী।
২০ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন আরেক ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী। তিনিও শর্ট লিস্টে রয়েছেন বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা।
২০ দলীয় জোটের আরেক শরিক খেলাফত মজলিস। মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাকের নেতৃত্বে দলের বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। চালাচ্ছেন প্রচার প্রচারণাও।
তবে চূড়ান্তভাবে দলটি চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে। আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী না থাকলে সংসদে উঠে আসতে পারেন এক বা দুজন।
এরা হলেন, দলের মহাসচিব ড. মাওলানা আহমদ আবদুল কাদের (হবিগঞ্জের ৪), যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ মুনতাসির আলী (সিলেট ২), নায়েবে আমীর মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন (খুলনা ৫) ও মাওলানা আহমদ বিলাল (মৌলভীবাজার ৩)।
চার আসনেই সাম্ভাব্য প্রার্থীগণ নির্বাচনী প্রচারণা, গণসংযোগ চালানোর পাশাপাশি এলাকার মানুষদের সেবা ও রাস্তাঘাট উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
দলটি গত কয়েকটি সিটি নির্বাচনে সম্ভাবনা জাগিয়েছে ভোটে। সে কারণে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক জোট ও দল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কারও সঙ্গে শেষ পর্যন্ত যাচ্ছে না ইসলামী আন্দোলন। এখন পর্যন্ত ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্তেই অটল দলটি। দলটির প্রতীক হাতপাখা।
সারাদেশে এখন পর্যন্ত দলটির বিজয়ী হওয়ার মতো নির্ভরতা না থাকলেও নির্বাচনের মাধ্যমে সে শক্তি অর্জনে আশাবাদি নেতারা। তাই সবার আগে ৩০০ আসনে প্রার্থী নির্ধারণ করেছে দলটি। মাঠে সরব প্রচারণায়ও দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের।
ইতোপূর্বে এ দল থেকে কেউ সংসদ সদস্য হতে না পারলেও এবার সেটি সম্ভব হবে বলে মনে করছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। টার্গেট করা আসনগুলোতে চলছে সুপরিকল্পিত প্রচারণাও।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, অন্তত পাঁচটি আসনে এবার জিততে চায় দলটি। দলের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বরিশাল ৫ ও ঝালকাঠি ২ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।
আলেমদের মিডিয়ায় পদচারণা অপরিহার্য!
এলাকার মানুষের চাহিদা থেকেই তিনি ২ আসনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং নেতাকর্মীরা মনে করে ১ টি আসন থেকে তিনি এবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ নির্বাচন করবেন খুলনা ৪ আসন থেকে। দলীয় প্রধানদের ধারণা এ আসনেও বিজয়ী হবে তারা।
তবে এ আসনে ২০দলের শরীক খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইনও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি মনোনয়ন পেলে ধর্মীয় ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ায় অন্য কেউ এ আসনে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এছাড়াও ইসলামী আন্দোলনের হাই কমান্ড ঢাকা
তবে নেতাকর্মীরা মনে করছেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হলেই সেটি সম্ভব। ইতোপূর্বে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ায় ভোটে তাদের পিছিয়ে থাকতে হয়েছে বলে মনে করেন তারা।
মহাজোটের শরীক গ্রুপ
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মহাজোটের বাইরেও কয়েকটি জোট করিয়েছে ছোট দলগুলোর মধ্যে। এগুলোর মধ্যে একটি ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স। যার নেতৃত্বে রয়েছেন আলহাজ মেসবাহুর রহমান চৌধুরী।
মেসবাহুর রহমান চৌধুরীর বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নরও।
একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে তিনি ১৫ টি দল নিয়ে ইসলামিক ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স গঠন করেন। তবে তার তিনি ছাড়া জোটটিতে অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ বা জনবান্ধব দল নেই। তাই ধারণা করা হচ্ছে এ জোট থেকে একমাত্র মেসবাহুর রহমান চৌধুরীই কেবল মনোনয়ন পেতে পারেন।
এমনটি হলে তাকেও আগামী সংসদে দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া বর্তমান সংসদে একজন আলেম সদস্য রয়েছেন। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ মাওলানা আবু রেজা নদভী। আগামী নির্বাচনেও তিনি সাতকানিয়া থেকে নির্বাচন করবেন।
-আরআর
আপনার ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক