আওয়ার ইসলাম: রাজধানীতে অল্প দূরত্ব, ভাড়া দ্বিগুণ। সিটিং সার্ভিসের নামে রাজধানীর গণপরিবহনে চলছে ভাড়া নিয়ে চরম নৈরাজ্য। যা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
যত সিট তত যাত্রী থাকার কথা থাকলেও বাস ভর্তি করে দাঁড়ানো যাত্রী নিচ্ছে সিটিং সার্ভিসের নামে চলাচলকারী বাস-মিনিবাসগুলো। এছাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে দু-তিন গুণ বেশি ভাড়া। যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়ের ক্ষেত্রেও কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছে না।
রাজধানীতে গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তা হলো- বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৭ টাকা, ছোট বাসে ৫ টাকা। কিন্তু সরকার নির্ধারিত এই বিধান মানা হচ্ছে না কোনো বাসে। কোনো কোনো পরিবহনে সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ থেকে ৪০ টাকা।
ঢাকা শহর জুড়ে গণপরিবহনে এমন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নৈরাজ্য চালালেও এর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি সড়ক পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিআরটিএর। লাইসেন্স, ফিটনেস পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন সময় অভিযান চালালেও অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে সংস্থাটির কোন ধরনের অভিযানের কথা শোনা যায়নি খুব একটা।
গণপরিবহনের ড্রাইভার-কাণ্ডাক্টররা জানান, মালিক যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে ভাড়া নেন তারা। ওয়েবিলের হিসাবে মালিককে টাকা বুঝিয়ে দিতে হয় তাদের। আর দাঁড়ানো যাত্রীরা জোর করে বাসে ওঠেন বলে জানান তারা।
এছাড়া গণপরিবহনে মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক আসন বরাদ্দ রাখার যে নিয়ম রাখা হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরে মান্য করা হচ্ছিল, সেটিও বাসমালিকরা বন্ধ করে দিয়েছে সিটিং সার্ভিসের নামে।
কিন্তু এখন ‘সিটিং সার্ভিস’ সেবা না দিয়ে দাঁড় করিয়ে যাত্রী নেওয়াতে মহিলা ও প্রতিবন্ধীরা পড়ছে ভোগান্তিতে। সিটিংয়ের ডাক শুনে বাসে উঠে দেখেন কোন আসন খালি নেই। উপরন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে দাঁড়ানো যাত্রীতে বাস ভরে যায়। ফলে নারী বিশেষ করে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গামী মেয়েরা হয়রানির শিকার হয় বেশি।
আরও পড়ুন: হাইয়াতুল উলয়ার পরীক্ষা প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক বৃহস্পতিবার
আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন