এম ওমর ফারুক আজাদ
আওয়ার ইসলাম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে এহসান এস নামক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও আত্মসাতের ঘটনায় একটি মহল সম্মানহানির জন্য অপপ্রচার করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সমন্বয়ক ও নাজিরহাট বড় মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা সলিম উল্লাহ।
গতকাল (২১সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ আনেন তিনি। ২০১০ সালের (আনুমানিক) দিকে নাজিরহাট শাখা চালু করা এই আর্থিক প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও লুপাটের অভিযোগ উঠে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু্ গ্রাহক বেশ কয়েকবার মাওলানা সলিম উল্লাহ'র বিরুদ্ধে মিডিয়ায় অর্থ আত্মাসাতের অভিযোগ আনেন।
বিগত রমজান মাসে মাদরাসার কাজে মাওলানা সলিম বিদেশ সফরে গেলে একটি স্থানীয় পত্রিকা তাকে পালাতক বলেও প্রচার করে। এমতাবস্থায় উদ্ভুদ পরিস্থিতে গতকাল দুপুর বারোটায় কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে মিলিত হন তিনি।
এতে তিনি অভিযোগ আনেন, এহসান এস নিয়ে উদ্ভুদ সমস্যা সমাধানের জন্য নাজিরহাট পৌরসভার মাননীয় মেয়র আলহাজ্ব সিরাজউদ্দৌলা এর নেতৃত্বে একটি কমিটি হলেও কতিপয় কুচক্রিমহল সমাধানের পথকে রুদ্ধ করতে আমার নামে মিথ্যা মামলা করে।
তিনি বলেন, আব্দুল মান্নান নামের এক ব্যক্তি একুশজন গ্রাহকের পক্ষ থেকে আমমোকতার নিয়ে মামলা করলে সেসব গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করি। তারা সাফ জানিয়ে দেন মামলা করার জন্য কোন ধরনের পাওয়ার তারা আব্দুল মান্নানকে দেয়নি এবং এ নিয়ে নিজেদের করা এভিডাফিটও দেখান।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের মধ্যে গতকাল সকালে নাজিরহাট বাজারে মানববন্ধন করলে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে যারা মানববন্ধন করছে তারা মূলত গরিব গ্রাহকদের ভালো চাননা বরং পরিস্থিতিকে জিইয়ে রেখে ফায়দা হাসিল করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
তার বিরুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অভিযোগের ব্যাপারে এতোদিন ধরে নীরবতার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাকে শাখা প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে সমন্বয়ক এর দায়িত্ব দেয়া হয়। শরিয়াহভিত্তিক সোসাইটি পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা দেখাশোনা করা আমার কাজ ছিলো।
কিন্তু কিছুদিনের মাথায় শাখা ম্যানেজার মুনির বিন হাসান স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত লাভের ভিত্তি টাকা নেয়া ও ইউনিফে টু নামক প্রতিষ্টানে বিনোয়োগ করার মতো অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় বিষয়টি আমি ঢাকা কেন্দ্রিয় অফিসকে অবহিত করলে তারা তদন্ত সাপেক্ষে মুনির বিন হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এর জের ধরে মুনির আমার উপর ক্ষুদ্ধ হয় এবং অপপ্রচার চালালে আমি চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিভিশনাল অফিসে তা অবহিত করলে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ২০১৩ সালে আমি লিখিত ইস্তফা দিয়ে পদত্যাগ করি।
কিন্তু হেড অফিস আমার পদত্যাগের সার্কুলার কর্মীদের জানায়নি। আমি নিজ থেকে জানালে মুনির আমার পদত্যাগের বিষয়টি মিথ্যা বলে অপপ্রচার চালায়। মুনির কর্তৃক সোসাইটির ফান্ড থেকে ইউনিফে টু তে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টাকা সরিয়ে ফেললে কিছুদিন পর এহসান এস এর গ্রাহকদের মধ্য থেকে অসন্তোষ ও মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ হলে মুনির পালিয়ে যায়। তাকে খোঁজাখুঁজি করে ঢাকা থেকে ধরে আনলে তার থেকে হিসাব না নিয়ে কর্মিরা তাকে ছেড়ে দেয়।
এরপর গ্রাহকগণ আবারো ক্ষুদ্ধ হলে তিনটি কমিটি করা হয়। তার মধ্যে সর্বশেষ নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব সিরাজউদ্দৌলা এর নেতৃত্বে এগারোজন বিশিষ্ট কমিটি উদ্ভুদ সমস্যার সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কিন্তু বিষয়টি সমাধানের পথে এগুলে কিছু কুচক্রিমহল তা রুদ্ধ করতে মানববন্ধন ও অন্যান্য অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ।
আমার মাধ্যমে সোসাইটির পক্ষ থেকে নাজিরহাটের পুর্বদিকে ডাইনজুরিতে একটি জায়গা মুফতি আব্দুল হাকিমের কাছে বিক্রয় করা হয়। এবং বিক্রয়ের বায়না বাবদ ১৬লক্ষ টাকা এখনো মুনিরের কাছে জমা রয়েছে। এই ছাড়া আর কোন লেনদেন আমার মাধ্যমে হয়নি। সকল ক্রয় বিক্রয়ের লেনদেন মুনিরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে।”
উদ্ভুদ পরিস্থিতির সমাধানের জন্য তিনি সাতটি প্রস্তাবনা পেশ করেন বলেও গণমাধ্যমকে জানান তিনি।
আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন
আরএম/