আবদুল্লাহ তামিম: ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত আমেরিকা,ফিলিপাইন,চীন ও হংকং। দেখা দিয়েছে বন্যা। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশগুলোর গুরুত্বপুর্ণ অনেক অঞ্চলের।
দুর্ভোগে দিন পার করছেন বাস্তুচ্যুত কয়েক লাখ মানুষ। মংখুতের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৪ জন। অন্যদিকে ফ্লোরেন্সের কারনে যুক্তরাষ্ট্রে মারা গেছেন ৩৫ জন।
প্রথমে ফিলিপাইন, পরে চীন ও হংকং এ তাণ্ডব চালায় শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় মংখুত। ফিলিপাইনে ঝড় থেমে গেলেও ভুমিধ্বস ও বন্যার কবলে পরেছে কয়েক লাখ মানুষ।
নিখোঁজদের খুজতে এখনো চলছে উদ্ধার অভিযান। তবে ঝড় ও বন্যায় রাস্তার ক্ষতি হওয়াতে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন নিখোঁজদের স্বজনরা।
দেশটির কৃষি বিভাগের মতে মংখুতের আঘাতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বের একটি বৃহত্তম চাল আমদানিকারক দেশ ফিলিপাইন। কাজেই এই ক্ষতি বিশ্ব বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশংকা সংশ্লিষ্টদের। শনিবার ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপে আঘাত আনে মংখুত।
এদিকে ঝড়ের পর চীন ও হংকং এ দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট। বন্যা ও ঝড়ে ভেঙ্গে পরেছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখনো বৃষ্টি থাকায় ভূমিধসের সতর্কতা জারি রয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন কয়েক লাখ বাড়ি ঘরে বিদ্যুৎ ফিরে আসতে সময় লাগবে।
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারোলাইনা উপকূলে আঘাত হানে ফ্লোরেন্স। ঝড়টি থামলেও ক্ষতিগ্রস্তদের নতুন সমস্যা, বন্যা। তলিয়ে গেছে ক্যারোলাইনা উপকূলের বেশ কয়েকটি অঞ্চল।
এখনো আটকে আছে প্রায় শতাধিক মানুষ। বিধ্বস্ত হয়ে গেছে ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি। এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অসংখ্য ঘরবাড়ি। জরিপ অনুযায়ী ফ্লোরেন্সের আঘাতে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার কোটি ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ দুর্যোগ কবলিত এলাকায় পরিদর্শনের কথা রয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের। এরই মধ্যে উত্তর এবং দক্ষিণ ক্যারোলিনা অধিবাসীদের সহায়তা করার জন্য ২০ লাখ মার্কিন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাস্কেটবল কিংবদন্তী মাইকেল জর্ডান।
আরো পড়ুন-
সম্পূর্ণ ফিতে নিন অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেস্টরি সফটওয়ার
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার