আওয়ার ইসলাম: খুন হওয়া কিশোর-কিশোরীর লাশ পাওয়া যায় কুড়িগ্রামের নালিয়ার দোলায় পরিত্যক্ত একটি ডিপ টিউবওয়েল ঘরে। স্হানীয় পুলিশকে জানালে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
গ্রামবাসির কাছে হত্যাকাণ্ড সর্ম্পকে জানতে চাইলে স্হানীয় চেয়ারম্যান জানান তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। হত্যাকাণ্ডর কারণ জানা যায়নি।
আজ সকালে উদ্ধার করা হয় লাশ দুটি। পুলিশের ধারণা; মঈলবার রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নিহত জাহা্ঙ্গীর আলম নাগদারপাড় গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র। ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র্ এবং নিহত সেলিনা খাতুন পার্শ্ববর্তী ডাকুয়াপাড়ার জাবেদ আলীর কন্যা। সে আমিন উদ্দিন দ্বিমুখী দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
তাদের হত্যাকাণ্ডর কোন রহস্য জানা যায়নি। বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মু. মাহবুবুর রহমান বলেন, দুজনের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। এর বেশি জানা যায়নি। তবে ঘটনাটি দুঃখজনক বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
লাশ দুটি উদ্ধার করার পর পুলিশ বেলা সাড়ে দশটা্র দিকে থানায় নিয়ে যায়।
আমিন উদ্দিন দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষিকা উম্মে রুমানী বলেন, হত্যাকাণ্ডর এই ঘটনায় আমরা শংকিত, দ্রুত হত্যাকাণ্ডর রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।
পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম বলেন, ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত কারণ জানা যাবে, এরপর আইনী ব্যবস্হা নেওয়া হবে।সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন আর পারভেজ বলেন, হত্যাকাণ্ডর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে। আশা করছি দ্রুত এর রহস্য উদঘাটিত হবে।
এদিকে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রওশন কবির।