আওয়ার ইসলাম: রাজধানী ঢাকা ও পাবনায় র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে তিনজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান ও একই দিন দিবাগত গভীর রাতে পাবনার আতাইকুলার শিবপুর এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
ঢাকায় র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমানের ভাষ্যমতে, রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দুপক্ষের গুলিবিনিময়ে ডাকাতদলের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, সকালে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ওই দুই ডাকাত সদস্যকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, আতাইকুলা থানার শিবপুর-কৈজুরী সড়কের পাশে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে- সোমবার গভীর রাতে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে মারা যান কোরবান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভালবার, গুলি ও বেশ কিছু ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
নিহত কোরবান আতাইকুলা থানার যাত্রাপুর এলাকার কিয়ামুদ্দিনের ছেলে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, নিহত কোরবান হোসেন চরমপন্থী সংগঠন নকশালের নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাসহ অন্যান্য মামলা রয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে আতাইকুলা থানার চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই এএসআই রয়েছেন। আহত পুলিশ সদস্যদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
কওমি মাদরাসা সনদের বিলের প্রতিবেদন সংসদে
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
আরএম/