আওয়ার ইসলাম: জামালপুরের মাদারগঞ্জের চরশুভগাছা গ্রামের স্থানীয় মসজিদের ইমাম মো. ছলিমউল্লার ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু আদালতে এই অভিযোগ দায়েরের পর উল্টো ইমামের বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী একটি দলের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ইমাম ছলিমউল্লার অভিযোগ, চরশুভগাছা মসজিদের সেক্রেটারি জিল্লু খা’র সঙ্গে মসজিদ ও মাদ্রাসার সরকারি অনুদান নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এই ঘটনার জের ধরে ৪ সেপ্টেম্বর প্রভাবশালী জিল্লু খা তার লোকজন নিয়ে ইমাম সলিমউল্লাকে বেধড়ক মারধোর করে হাত ভেঙে দেয়। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসার পর মাদারগঞ্জ থানায় মামলা করতে যান।
পুলিশ মামলা না নেওয়ায় সলিমউল্লা ৯ সেপ্টেম্বর জামালপুর আমলি আদালতে জিল্লু খাঁসহ ৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মামলার বিবাদি জিল্লু খা ওইদিনই রাত ৮টায় মাদারগঞ্জ থানায় ইমাম ছলিমউল্লা ও তার মাদ্রাসা পড়ুয়া দুই ছেলের বিরুদ্ধে একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। থানার ওসি অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে আদালতে পাঠান।
ছলিমউল্লা আরও জানান, পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহণ না করে উল্টো ঘটনাস্থল বা এলাকায় না গিয়ে প্রভাবশালী জিল্লু খার মামলা গ্রহণ করে তা আদালতে পাঠিয়েছে।
মসজিদের ইমাম ছলিমউল্লার মামলা না নেওয়ার বিষয়ে মাদারগঞ্জ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছলিমউল্লা মামলা করার জন্য থানায় আসেনি। জিল্লু খাঁ মামলা করতে এসেছিল। তাই তার মামলা নেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে জিল্লু খাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি।
কওমি মাদরাসা সনদের বিলের প্রতিবেদন সংসদে
এসে গেল যাদুকরী মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার
সম্পূর্ণ ফিতে নিন অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেস্টরি সফটওয়ার
আরএম/