আওয়ার ইসলাম: স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ। গত ২ মে পতেঙ্গার ১৮ নম্বর ঘাট থেকে তাসফিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিলো।
সাড়ে চার মাস ধরে তদন্তের পর আজ রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে স্কুলছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হলে তা প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, ভিসেরা প্রতিবেদন ও প্রত্যক্ষদর্শী ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, তাসফিয়া আত্মহত্যা করেছে।
ভিসেরা রিপোর্টে তাসফিয়ার শরীরে বিষক্রিয়ার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, ধর্ষণের কোনো প্রমাণও নেই। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এ মামলার সব আসামি গ্রেফতার আছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে জানা গেছে এটি আত্মহত্যা বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক স্বপন সরকার।
তাসফিয়ার বাবার করা হত্যামামলার সন্দেহভাজন ছয় আসামিকেও অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানানো হয় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে।
এদিকে, তাসফিয়ার মা নাঈমা খানম বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তার আত্মহত্যা করার তো কোনো কারণ নেই।’
চলতি বছরের পহেলা মে নগরীর পতেঙ্গা নেভাল এলাকা থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসফিয়া আমিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানায়।
এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা বাদী হয়ে তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাসহ ছয়জনকে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদনানসহ দুজনকে গ্রেফেতার করে পুলিশ। এ ছাড়া ফিরোজ নামের আরেক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে।
চট্টগ্রামে আলোচিত তাসফিয়া হত্যারহস্যের দ্বারপ্রান্তে পুলিশ
সম্পূর্ণ ফিতে নিন অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেস্টরি সফটওয়ার
দারুল উলুম দেওবন্দে আমার স্মৃতিময় দিনগুলো
আরএম/