আওয়ার ইসলাম: পদ্মা ভাঙন শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত নিঃস্ব হয়েছে ৫ হাজার ৮১টি পরিবার। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও ৮ হাজার পরিবার। ভাঙনে শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতি বছরই নদী ভাঙনের শিকার হয় আশপাশের মানুষ। কিন্তু এবার এক উপজেলায় এত পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়ার ঘটনা খুব কম। নড়িয়ায় এবার ৫ হাজার ৮১ পরিবার তাদের ভিটেবাড়ি সম্পত্তির সর্বস্বই হারিয়েছেন। মাথা গুজতে এখন চেয়ে থাকতে হবে পরের দিকে।
তবে পদ্মা তীরবর্তী শরীয়তপুরে প্রতিবছর ভাঙন হলেও এসব রোধে কার্যকর উদ্যোগ তেমন নেই বললেই চলে। পলে ছোট হয়ে আসছে এ জেলা। চলতি বছরের জুন মাস থেকে নড়িয়া এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছিল। তা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
গণমাধ্যম ও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কিভাবে সেকেন্ডের মধ্যেই একেকটি পাকা বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে গভীর সমুদ্রে।
শরীয়তপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় এবং বেসরকারি এনজিও এসডিএস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছরই শরীয়তপুরে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে পদ্মা। তবে দুই বছর যাবৎ এর মাত্রা সবচেয়ে বেশি।
ত্রাণ সংস্থা থেকে বলা হয়, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৮১টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে (যাদের ভেতর ৫৫ ভাগ দরিদ্র)। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৮ হাজার একর জমি ও ২৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান বলেন, পদ্মা নদীর পানি না কমা পর্যন্ত তীর রক্ষা প্রকল্পের কাজ করা সম্ভব না। এ মুহূর্তে ভাঙন রোধ সম্ভব না হলেও বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে তীব্রতা কমানোর চেষ্টা চলছে।
বর্তমানে পদ্মার ভাঙনের তীব্রতা রোধে জুলাই মাসে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ অর্থ ব্যবহার করে ১১ জুলাই থেকে ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়ে অব্যাহত আছে। এই খাতে নতুন করে আরও ২ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
সম্পূর্ণ ফিতে নিন অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেস্টরি সফটওয়ার