আওয়ার ইসলাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সকালে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি সেন্টার অব এক্সিলেন্স প্রকল্পের স্থাপনাগুলো উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, চিকিৎসা সেবা দেশের মানুষের দোঁরগোড়ায় পৌছে দিতে আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা চালু করি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজন যখন এই ব্যবস্থার সুফল ভোগ করা শুরু করল তখন বিএনপি ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিল। শুধু তাই নয়, তাঁরা দেশের একমাত্র মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়টিও (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউ)বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। আমরা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। সেটিও বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল বিএনপি।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের চিকিৎসা সেবার উৎকর্ষতার ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই হাসপাতালে সবাই চিকিৎসা সেবা সুলভে পাবে সেটিই আমরা চাই। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে বর্তমান হাসপাতালের উত্তর পাশের ৩ দশমিক ৮ একর (প্রায় ১২ বিঘা) জমির বন্দোবস্ত দেন।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের সহযোগিতায় এ ৩ দশমিক ৮ একর জমির ওপর নির্মিত হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। ২০১৬ সালে ১৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক। ১৩ তলাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে থাকবে এক হাজার শয্যা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) সেন্টার অব এক্সিলেন্সে পরিণতকরণ ২য় পর্যায় প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়েই সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের আওয়তায় ইতিমধ্যে কেবিন ব্লকের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ, পাঁচতলা পর্যন্ত দুটি সর্বাধুনিক বহির্বিভাগ নির্মাণ, পাঁচতলাবিশিষ্ট ডক্টরস ডরমিটরিস নির্মাণ, সর্বাধুনিক মেডিকেল কনভেনশন সেন্টার এবং পাঁচতলাবিশিষ্ট অনকোলজি ভবন নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ।
এ প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারিত ছিল ৫২৬ কোটি টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হলেও বিস্ময়করভাবে ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউর উপাচার্য, উপ উপাচার্যসহ উর্দ্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার ভাবনাকে সহজ করতে এলো বিসফটি। – বিস্তারিত জানুন
আরএম/