আবদুল্লাহ তামিম: দৃষ্টি শক্তি না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের অক্ষমতাকে উপেক্ষা করে মৃৎশিল্পে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন মিশরের তিন ভাই।
কেনা অঞ্চলের একটি কারখানাতে মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরণের জলের পাত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।
কাদা মাটির উপর হাত বুলানো এই লোকটি হারবি ইব্রাহিম। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও, হারবি প্রায় ৩০ বছর ধরে কাজ করছেন মৃৎ শিল্পী হিসেবে। তিনি এই শিল্পটি তার বাবার কাছ থেকে শিখেছিলেন।
তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি একমাত্র যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। ইব্রাহিম আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামিক স্টাডিজে স্নাতক করেন।
মৃৎ শিল্পী ও আরবি শিক্ষক হারবি ইব্রাহিম বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে স্নাতক পাশ করি।বর্তমানে আমি একজন আরবি শিক্ষক হিসেবে কাজ করছি। এবং তার পাশাপাশি বিকেলে মৃৎশিল্পের কাজ করি।
ইব্রাহিমের বাকি দুই ভাই সাইদ এবং কামাল। এদের মধ্যে সবার বড় কামাল। সে এ শিল্পে ছোট থেকে কাজ করছে।
কামাল ও তার ভাইরা মিলে প্রায় সব ধরণের পানিরপাত্র তৈরি করেন। আঁকার অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করেন। কিন্তু তাদের দাবি, পরিশ্রমের তুলনায় তাদের কাজের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না তারা।
মৃৎ শিল্পী ও আরবি শিক্ষক হারবি ইব্রাহিম বলেন, আগে কাচামাল গুলো সস্তা এবং সহজলভ্য ছিল।কিন্তু এখন সবকিছু ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। এমনকি বিক্রির সময়ও পাওয়া যাচ্ছে না আগের মতো দাম। তার উপর তেলের দাম বাড়ায়, পণ্য সরবরাহে বেড়েছে পরিবহন খরচ।
প্রতিমাসে কারখানা খরচ বাবদ তিন ভাইকে সর্বমোট প্রায় ৫০ মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়। কিন্তু ক্রমবর্ধমান খরচের কারণে, এ খরচ বহন করা তাদের জন্য দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
আপনার ব্যবসাকে সহজ করুন। – বিস্তারিত জানুন