আওয়ার ইসলাম: আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার কারাগারে বন্দী থাকা বাংলাদেশিদের নিয়মিত খাবার দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দেশটির কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, দীর্ঘ সময়ের জন্য বাংলাদেশি বন্দীদের খাবার দিতে তারা বাধ্য নয়। নিয়মিত খাবার না পেয়ে কারাবন্দী বাংলাদেশিদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে লিবিয়ায় সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার লিবিয়ার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এই সতর্কতা জারি করে।
সতর্কবার্তায় আরো বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজনে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিরা যাতে দূতাবাস কর্তৃপক্ষের সহায়তা নেয়।
লিবিয়ার কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের ফেরানোর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম বুধবার এ প্রতিবেদককে বলেন, আটক ১৮৪ কারাবন্দীকে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে তাদের দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে ত্রিপোলির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে। ঢাকা থেকে অনুমতি পাওয়ার পর এদের ফেরত পাঠাতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
দালালের মাধ্যমে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করা বাংলাদেশের প্রায় দুই শ নাগরিক এখন লিবিয়ার কারাগারে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন।
তারা চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ইউরোপে যাওয়ার উদ্দেশে সুদান, মিসর, আলজেরিয়া, দুবাই ও জর্ডান থেকে লিবিয়ায় জড়ো হয়েছিলেন। পরে সেখানে ধরা পড়েন। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
লিবিয়ার কারাগারে আটক বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জেনেছি।
দ্রুত কারাগারে আটক লোকজনকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এদের লিবিয়া থেকে দেশে আনার খরচ দেবে।
বিসফটি – বিস্তারিত জানুন
আরো পড়ুন-
‘সমকামী নারীকে প্রথমেই বেত্রাঘাতে ইসলামের গুণাবলি প্রকাশ পায়নি’
জেরুসালেম থেকে দূতাবাস সরানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলো প্যারাগুয়ে
‘আমাকে একটু বেশি মানুষ রিসিভ করেছে এতে দোষের কী?’