মুজাহিদুল ইসলাম: মার্কিন কৌসুলিরা বলেছেন, ইসলামিক স্টেটকে সহায়তার কথা স্বীকার করার পর হাইওয়েতে কর্মরত আমেরিকান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপটেনকে পঁচিশ বছর কারাদন্ডের জন্য আদালতে দাবি জানিয়েছেন।
ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেইশন-অফিস জানায়, আমেরিকান সেনাবাহিনীতে ইসলামিক স্টেটের প্রতি সহানুভুতিশীল ও তাদের কর্মী খুঁজে বের করার এক তদন্তে পয়ত্রিশ বছর বয়সী সামরিক কর্মকর্তা ইকাইকা রিক কাঞ্জকে গত বছর আটক করা হয়, তখন তিনি শিফেল্ডের সামরিক ঘাঁটিতে সামরিক বিমান চলাচলের একজন কন্ট্রোলার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মার্কিন বিচারমন্ত্রণালয় জানায়, মার্কিন সেনাবাহিনীতে কর্মরত এই কর্মকর্তা ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধ করেছেন। তিনি গত বুধবার বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনকে বস্তুগত সহযোগিতা-সংক্রান্ত চারটি অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন।
কাঞ্জ পঁচিশ বছর জেলখানাতে ও তার পরবর্তী বিশ বছর শর্তসাপেক্ষে জামিনে থাকার ব্যাপারে পাবলিক প্রসিকিউটরদের সাথে একমত হয়েছে।
আদালতের দলিল থেকে জানা যায়, কাঞ্জ ২০১৬ সালে ইসলামিক স্টেটের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়ে; তিনি ইসলামিক স্টেটের মৃত্যুদন্ডের ভিডিও ক্লিপসহ ইন্টারনেটে তাদের প্রচারণামূলক বিভিন্ন কন্টেন্ট দেখতে থাকেন।
২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে সে এফবিআই এর কয়েকজন এজেন্টের সাথে মিলিত হন, সেখানে তিনি দাবি করেন, ইসলামিক স্টেটের সাথে তার সম্পর্ক আছে এবং তিনি তাদের গোপন সামরিক তথ্য, ছোট ছোট ড্রোন এবং সামরিক পোশাকের মতো বিভিন্ন বস্তু তাদের দিয়েছেন।
আদালতের বিভিন্ন ডকুমেন্টসূত্রে জনা যায়, কাঞ্জ ২০১৭ সালের জুলাইতে ইসলামিক স্টেটের প্রধান আবু বকর বাগদাদীর কাছে বায়াত গ্রহণ করেন এবং এফবিআই এর এক গোপন এজেন্টের কাছে বলেন, তিনি বন্দুক সংগ্রহ করে হনুলুলু গিয়ে গুলি করতে চান। ওই দিনের পরই তিনি গ্রেফতার হন।
গত বছর কাঞ্জের আইনজীবী বলেন, তার মক্কেল যুদ্ধের ময়দানে আঘাত পাওয়ার পর থেকে মানসিক পিড়ায় ভূগছেন। ২০১১ সালে ইরাক ও ২০১৪ সালে আফগানিস্তান থেকে ফিরে আসার পর সেনাবাহিনী তাকে সুস্থ করে তুলতে পারেনি।
কাঞ্জের মক্কেল এফবিআইকে তার মক্কেলের মানসিক অবস্থাকে কুক্ষিগত করার জন্য অভিযুক্ত করেন।
উল্লেখ্য, এফবিআই এর বিরুদ্ধে মানুষকে উস্কে দিয়ে তার থেকে কল্পিত ও অ্যাডভেঞ্জারমূলক তথ্য বের করে আবার তাকেই গ্রেফতার করার অভিযোগ আছে।
সূত্র: আলজাজিরা
এখন ব্যবসার হিসাব হবে সফটওয়ারে – বিস্তারিত জানুন
-আরআর