মুফতি হারুন ইজহার
আওয়ার ইসলাম
চামড়া শীল্প নিয়ে যা হয়েছে তাতে আল্লাহ তাআ'লার নিপুণ কৌশল রয়েছে। এ কৃত্রিম সঙ্কট আমাদের প্রতি একটা বার্তা। সময়ের এ বার্তা বুঝতে হবে।
আমি মনে করি গরীব জনগণকে ঠকিয়ে ভোগবাদী মুনাফাখোরির যে নির্লজ্জ অসাধু মহড়া চলছে তাকে চ্যালেঞ্জ করার একটা সুযোগ তৈরী হয়েছে।
পাল্টা ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার সাহসী প্রয়াস গ্রহণের এটাই মোক্ষম সময়।
চামড়াকে ভিক্ষার উপকরণ না বানিয়ে বাণিজ্যের পণ্যে রূপান্তরিত করতে হবে। নিজেরা প্রক্রিয়াজাত করব আর নিজেরাই বাজারজাত করব।
এক যোগে সকল কওমি মাদরাসা ও আমাদের সেবা সংস্থাগুলো এ কাজ করবে। এটা কঠিন নয়। দ্বীনদার ব্যবসায়ীদের সাথে সমন্বয় করে আসাধু ব্যবসায়ীমহলের বাজার থেকে বিদায়ঘন্টা বাজিয়ে দিতে হবে।
শীর্ষ ওলামারা ডাক দিলে ঈমানদার ব্যবসায়ীরা সাড়া দিবেন অবশ্যই। অতঃপর রাষ্ট্রযন্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে এ পরিকল্পনার টেকসই ভিত্তি রচনা করতে হবে।
অসাধু পুঁজিবাদী চক্র আর স্বার্থবাদী রাষ্ট্রযন্ত্রে গোপন অভিসারের ব্লাকমেইলিং এর খপ্পরে অসহায়ভাবে নিজেদের এভাবে আর সোপর্দ করা নয়।
কুরবানির পূর্বে কুরবানী সংক্রান্ত যে মাহফিল সেটাকে ফাযায়েল-মাসায়েলের পাশাপাশি চামড়ার ক্যাম্পেইনে পরিণত করতে হবে।
নগদ অল্প অর্থের লোভ না করে অধিক লাভজনক দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এটাতে আমাদের সম্মান বৃদ্ধি পাবে, মাদরাসাগুলোর অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। এতে শুধু কওমী মাদরাসা কেন, আপামর দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কল্যাণ হবে। রাষ্ট্রের ফায়দাও হবে অধিক।
চামড়ার অভাবনীয় মূল্যপতনের মাধ্যমে কৃত্রিম সঙ্কটের নৈরাজ্যকর বৈষম্য থেকে শুধু কওমি মাদরাসাই নয় বৃহত্তর গরীব জনগণকে মুক্ত করার চিন্তা এখন থেকে করলে আগামী বছর থেকে হিসাব উল্টাপাল্টা করে দেয়া সম্ভব।
মোট কথা সকল কওমী প্রতিষ্ঠান ঐক্যবদ্ধ হতেহবে, সাধারণ নাগরিক ও গরীব শ্রেণীকে সঙ্গে ভেড়াতে হবে, ঈমানদার ব্যবসায়ীদেরকে সামনে আনতে হবে, রাষ্টযন্ত্রকে বাধ্য করতে হবে।
মুফতি হারুন ইজহারের টাইম লাইন থেকে
লেখক, গবেষক, শিক্ষাবীদ
আরো পড়ুন–
তুরস্ক বিশ্বরেকর্ড করলো রকেট উৎপাদনে
মানসিক হাসপাতালে শত শত ইসরায়েলি সেনাকে ভর্তি করতে হচ্ছে
ধর্ষণের কারনে চার্চে যাওয়া কমেছে ২০ শতাংশ, প্রতিবাদের মুখে পোপ
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
এটি/আওয়ার ইসলাম