আওয়ার ইসলাম: বরিশালে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় অস্ত্রসহ এক ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আহতদের বরিশাল শেরে বাংলা হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার দুপুরে নগরীর সদর রোডস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সদ্যঘোষিত কমিটিতে পদবঞ্চিত নেতা জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সুজন ও সোহেল রাঢ়ী শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন।
দুপুরের দিকে সদ্যঘোষিত মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির এবং জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠুর নেতৃত্বে মিছিল সহকারে কয়েকশ নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে এলে পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
একপর্যায়ে ছাত্রদলের কমিটিতে পদপ্রাপ্তরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সমাবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। কিছুক্ষণ পর পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের মধ্যে রিমন নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে।
বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি বলেন, ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী দলীয় কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রেখেছিল।
আমরা সেখানে গিয়ে তালা ভেঙে সমাবেশ করি এবং দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিই। এছাড়া সেখানে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আরো পড়ুন– সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছে ৬৩ হাজারের বেশি রুশ সেনা
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
এটি/আওয়ার ইসলাম